বিনোদন জগতে চেনা মুখ অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী (Sudip Mukherjee)। ছোট পর্দা (Bengali Serial) থেকে শুরু করে বড় পর্দা (Tollywood) সর্বত্রই চলেছে তাঁর রাজত্ব। বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsa) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’- তে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেতাকে। নায়কের বাবার চরিত্রে ধরা দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়াল হোক কিংবা সিনেমা। খলনায়কের চরিত্রতে অভিনয় করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সুদীপ মুখার্জী। তাঁর অভিনয় মন ছুয়ে যায় দর্শকদের। তাকে একাধিক ধারাবাহিকে দেখা গেলেও ‘শ্রীময়ী’ সিরিয়ালের তাঁর চরিত্র ভুলতে পারেননি দর্শকেরা। আজও সেই সুদীপকে খুঁজে পেতে চাইছেন সিরিয়াল প্রেমিরা।
আজ তিনি যতই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যাক না কেন। অতীতটা কিন্তু মোটেই ভালো ছিল না এই অভিনেতার। সম্প্রতি এক টক শোতে হাজির হয়ে সেই অভিজ্ঞতাই সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলেন তিনি। তাঁর চেহারা এবং গায়ের রং এর কারনেই নাকি একাধিকবার রিজেক্ট হতে হয়েছে তাঁকে।
অভিনেতার গায়ে লেগেছিল কাঠখোট্টা চেহারার তকমা।তবে হার মানতে রাজি ছিলেন না তিনি। আর সে কারণেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লড়াই। সে সময় পরিচালক জয় মুখার্জি তাঁকে দিয়েছিলেন নায়কের চরিত্রে কাজ। এরপর থেকেই শুরু হয় তাঁর জার্নি।
অভিনেতা জানান, ‘প্রথমবার আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক অনিমেষ রায়। সে সময় খলনায়কের চরিত্রের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল আমাকে। নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যীশু সেনগুপ্ত। নায়িকা ছিলেন জুন মালিয়া’। অভিনেতা স্বীকার করে নেন, অভিনয় জগতে তিনি অনেকটাই সাহায্য পেয়েছেন যীশু সেনগুপ্তর কাছ থেকে।
অভিনেতার মুখে উঠে আসলো পরিচালক দেবাংশু সেনগুপ্তের নামক। তিনি বলেন, ‘দেবাংশু সেনগুপ্ত আমাকে একটি গল্পে একদিনের জন্য ছোট রোল করার কথা বলেছিলেন। আমার অভিনয় পছন্দ হয় তাঁর। এরপরেই তিনি আমাকে দুটি গল্পের নায়ক চরিত্রে অভিনয় করার কথা জানান। আমার বিপরীতে কাজ করেছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। আর এ কথা জানতে পারি আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ তিনি অভিনেত্রী হিসেবে জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার’।