টেলিভিশন জগত (Television) হোক কিংবা বড় পর্দা (Bollywood)। সর্বত্রই রাজত্ব চালিয়েছেন অভিনেতা সুদেশ বেরি (Sudesh Berry)। দর্শকদের তিনি উপহার দিয়েছেন বহু হিট ছবি। ১৯৮৮ সালে তিনি পা রাখেন অভিনয় জগতে। বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত ছবি ‘খতরো কে খিলাড়ি’।
ওই একই বছর টেলিভিশন জগতেও কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা। ‘মহাভারত’ শোতে দেখা গেছিল তাঁকে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সুদেশ বেরিকে। জীবনের ৩৫ টা বছর তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন অভিনয় জগতে। তাঁর ভক্ত সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
তবে বলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, নায়কের চরিত্রে খুব একটা বেশি কাজ করতে পছন্দ করতেন না তিনি। যেকোনো চরিত্রে কাজ করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে নিতেন সবটাই। তবে জানেন কি প্রায় ২০০ টিরও বেশি ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকার অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।
জানা যায়, ‘ডর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সুদেশ বেরিকে। শাহরুখ খান অভিনীত চরিত্রটির জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে যশ চোপড়া পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হননি তিনি। এরপরেই সেই অফার যায় বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের কাছে। এই ছবিটি তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ব্লকবাস্টার হিট ছবি।
এক সাক্ষাৎকারে সুদেশ বেরি জানান, ‘শাহরুখ খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন সহ বেশ কিছু অভিনেতার সঙ্গে আমি কাজ করেছি। তবে আমি কচ্ছপের গতিকেই বেশি পছন্দ করতাম। শাহরুখ সাফল্য অর্জন করতে খরগোশের মতন দৌড়ে গেছে। কিন্তু আমি কখনই সে পথে হাঁটিনি। আমি যা অর্জন করেছি সেটাই আমার কাছে যথেষ্ট’।
অভিনেতার সংযোজন, ‘ আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমি মনে করি উনি যেটা পরিকল্পনা করবেন সেটাই হবে’। কিভাবে অভিনয় জগতে তিনি এলেন সে কথাও জানিয়েছেন সুদেশ। তিনি বলেন, ‘কলেজে পড়াশোনা করার সময় আমি বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতাম। যদিও একবার একজন প্রতিপক্ষ আমাকে কঠিনভাবে আঘাত করেছিলেন। তারপর বহু কষ্ট করেই আমি ছেড়ে দিই বক্সিং। এরপর আমার এক বন্ধু আমাকে নিয়ে গেছিল অভিনয় ওয়ার্কশপে। বেশ পছন্দ হয়েছিল আমার। আমি নাটক দলে যোগ দিলাম তারপর আইপিটিএ তেও যোগদান করলাম। এরপরেই আমার কাছে সুযোগ আসে সিনেমার’।