নিউজশর্ট ডেস্কঃ কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল অনেক আগেই। এবার সেই আন্দোলনের জেরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ দেওয়ার পর বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন তিনি, এরপর হেলিকপ্টারে করে পৌঁছেছেন ভারতে। তাঁর সাথে দেশ ছেড়েছেন বোন শেখ রেহানাও। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে চলবে দেশ? সেটাই জানাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার- উজ-জামান।
প্রথমেই সেনাপ্রথান জানান, ‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দেশে অন্তর্বর্তী সরকারগঠন করা হবে। সেই সরকারই বাংলাদেশের সমস্ত কাজ চালাবে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করা হবে।’ একই সাথে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। কারণ শেখ হাসিনার বাসভবন কার্যত দখল নিয়েছে ক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা।
সেনাপ্রধান জানান, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামাতে ইসলামী ইত্যাদি সমস্ত দলের নেতাদের সাথে কথা বলে আলোচনা করা হয়েছে। এরপর রাষ্ট্রপতির সাথে বঙ্গভবনে আলোচনা করা হবে। সমস্ত মানুষেরমত নিয়েই তৈরী হবে বাংলাদেশের নতুন সরকার।
রাস্তায় থাকা অগুনতি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান জানান, ‘আমি কথা দিচ্ছি সব হত্যা ও অন্যায়ের বিচার হবে। সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। আপনাদের দাবি পূরণ হবে। দেশে শান্তি -শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। তাই ভাঙচুর-হত্যা বা সংঘর্ষ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।’ একইসাথে আন্দোলনকারীদের শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ২৬০০০ শিক্ষক নিয়োগে কতজন অযোগ্য? অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে তালিকা জমা করল SSC
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট নিজ বাস ভবনে খুন হতে হয়েছিল শেখ মুজিবর রহমান ও তার গোটা পরিবারকে। এর ঠিক ৫০ বছর পর এক অগাস্ট মাসেই দেশ ছাড়তে হল মুজব কন্যা শেখ হাসিনাকে। ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি তীব্র অশান্তিও বিশৃঙ্খলার জেরে সেই সময়ের সেনাপ্রধান জেনারেলমঈন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ।