গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে দেড় হাজারেরও বেশি সিরিয়াস ও মজার কমিকস সৃষ্টি করে বাংলার শিশু সাহিত্যে এক অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন নারায়ণ দেবনাথ(Narayan Debnath)। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি ‘বাঁটুল দি গ্রেট’র কথা মনে আছে তো? আমাদের ছোটবেলাটাকে আরো মজাদার করে তুলেছিল এই চরিত্র।
কালো হাফ প্যান্ট আর গোলাপি গেঞ্জি পরা বাঙালি যুবক বাঁটুলের কাঁধে ভর দিয়েই বাঙালি প্রথম চিনেছে সুপারহিরোর ‘লার্জার দ্যান লাইফ’-এর দুনিয়া। সাল ১৯৬৫ তে শুকতারায় ‘বাঁটুল’র গল্প প্রকাশ পাওয়ার পর দেব সাহিত্য কুটির এটি আলাদা খণ্ডে খণ্ডে প্রকাশ করে। যদিও এখন সব গল্প একসাথে করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া জি বাংলার পর্দায় এর অ্যানিমেটেড ভিডিওও দেখতে পাওয়া যায়। তবে জানেন কি এই অ্যানিমেটেড ভিডিওতে যিনি বাঁটুলের ভয়েস ওভার দিয়েছেন তাকে এখন স্টার জলসার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখতে পাচ্ছেন আপনারা!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অ্যানিমেটেড এই ভিডিওতে বাঁটুলের ভয়েস ওভার দিয়েছেন জনপ্রিয় ভয়েস ওভার আর্টিস্ট নরেন ভট্টাচার্য (Naren Bhattacharya)। এর আগেও, সোনি আট’র অনেক চরিত্রে ভয়েস ওভার দিয়েছেন তিনি। ভয়েস ওভারের পর এই গুণী শিল্পীই এবার অভিনয়েও চলে এলেন।
স্টার জলসার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা তো জানেনই যে, দীপা এই মুহূর্তে আশ্রয় নিয়েছে পাতানো দাদা তবলার গ্রামের বাড়ি হৃদয়পুরে। সেখানে তার দাদা বৌদির কাছে রয়েছে সে।
আর সেখানেই তবলার দাদার চরিত্রে অভিনয় করছেন নরেন ভট্টাচার্য। রূপার বড়মামু সে। সম্প্রতি এই সিরিয়ালের একটি সিন কেটে শেয়ার করে এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় তবলার ভাই এর চরিত্রের এই লোকটির কন্ঠ খেয়াল করেছেন? যদি আমি ভুল না হই এই মানুষটি জি বাংলার “বাটুল দি গ্রেট” এর ভয়েস ওভার আর্টিস্ট। পাশাপাশি সনি আটের আহাটে অনেক চরিত্রে ভয়েস ওভার করেছেন’। আর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিষয়টা একেবারেই সত্যি।