নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন বেশিরভাগ মানুষের কাছে ডেবিট কার্ড(Debit Card) এবং ক্রেডিট কার্ড(Credit Card) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানিব্যাগে নগদ টাকার তুলনায় ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের সংখ্যা বেশি থাকে। যদিও এখনো বহু মানুষ ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহল নয়। যার ফলে নানারকমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানাবো ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কিছু ভুল করলে আপনি ঋণে ডুবে যেতে পারেন। মনে রাখবেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনাদেরকে টাকা তোলার জন্য যে কার্ড দেওয়া হয় সেটিকে ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড বলা হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে এটিএমে গিয়ে নগদ টাকা তুলতে পারা যায়।
কিন্তু ক্রেডিট কার্ড হলো এমন একটি কার্ড যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে যদি ভুল হয় তাহলে প্রচুর ঋণে ডুবে যেতে পারেন আপনি। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোন কিছু কিনে থাকলে সেই ঋণ পরিশোধের জন্য আপনাকে ৪৫ থেকে ৫০ দিন সময় দেওয়া হয়।
আর ক্রেডিট কার্ড থেকে অনেক সময় এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা হয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক এবং ব্যাংকের কর্মীরা এটিএম থেকে নগদ টাকা তুললে যে অতিরিক্ত সুদ থাকে সেই সম্পর্কে উল্লেখ করে না। এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ডে টাকা তোলার দিন থেকেই চড়া সুদ শুরু হয়ে যায়। এর ফলে ঋণের অংক আরো বাড়তে থাকে।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কাউকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করাও কখনো উচিত না। এর কারণ হলো এই ব্যালেন্স ট্রান্সফারের টাকার জন্য আপনার কাছ থেকে জিএসটি এবং প্রসেসিং ফি এবং অতিরিক্ত সুদ নেওয়া হয়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যাংক আগে থেকে সমস্ত কিছু গ্রাহককে জানায় না। তাই ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগেই এই সমস্ত বিষয়গুলো আগে থেকে জেনে বুঝে তারপরেই গ্রহণ করা উচিত। না হলে যেকোনো সময় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।