নিউজশর্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসে টাকা জমান না। মোটা টাকা রিটার্নের আশায় মিউচুয়াল ফান্ডে(Mutual Fund) বিনিয়োগ(Investment) করেন। বেশি টাকা রিটার্নর ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড অবশ্যই একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে এটি বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ।
তাই এখানে অর্থ বিনিয়োগের আগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন: এক্সিট লোড, লক ইন পিরিয়ড, মিউচুয়াল ফান্ডের ট্যাক্স, দীর্ঘময়াদী বিনিয়োগ কতটা বাড়বে ইত্যাদি। আজকের এই প্রতিবেদনে মিউচুয়াল ফান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) এক্সিট লোড: আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা বের করতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে চার্জ দিতে হবে। এটিকে এক্সিট লোড বলে। আর এই চার্জের পরিমাণ প্রত্যেক মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। অর্থ বিনিয়োগের আগে এই এক্সিট লোড আগে জেনে নেওয়া দরকার।
২) লক ইন পিরিয়ড: এর মানে হল একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা যা পূর্ণ হওয়ার আগে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে এই লক ইন পিরিয়ড দু বছর, তিন বছর বা এর বেশি হতে পারে। আবার অনেক মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেই লক ইন পিরিয়ড থাকে না। এখানে আপনি যখন খুশি টাকা তুলতে পারবেন।
৩) মিউচুয়াল ফান্ডের ট্যাক্স: এক্ষেত্রে আপনি যদি এক বছরের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা তুলে নেন তাহলে লাভের উপরে ১৫ শতাংশ করে দিতে হবে। আর আপনি যদি এক বছরের বেশি সময় ধরে মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা রাখেন তাহলে লাভের উপরে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
৪) দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ: আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করার আগে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ চালাতে চান সে ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে ওঠানামা হওয়া স্বাভাবিক। বেশি রিটার্ন পেতে হলে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।