নিউজশর্ট ডেস্কঃ কোথাও ঘুরতে গেলে বহু মানুষই পাঁচতারা হোটেলের(5 Star Hotel) সন্ধান করে থাকেন। পাঁচতারা হোটেলে থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা সমস্ত কিছুই উপভোগ করতে চান সকলে। তবে পাঁচতারা হোটেলের চার্জ এত বেশি থাকে যা সবার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যারা এই হোটেলের পরিষেবা উপভোগ করেন তারাও এই পাঁচতারা হোটেলের রুম সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার কোন রকমের চেষ্টা করে না।
এর কারণ এই হোটেলে রুম সার্ভিসের মজা নিতে বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ত থাকে। আর এই রুমের মধ্যে একজন ব্যক্তির দু-তিন দিন থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন সমস্ত কিছুই থাকে। আবার আপনি একটি বেল বাজালে আপনার রুমের সামনে হাজির হয়ে যাবে রুম সার্ভিস। কিন্তু পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে কখনো কি পাখা বা সিলিং ফ্যান আপনি দেখেছেন? সাধারণত পাঁচতারা হোটেলের এই বিলাসবহুল রুমে কোন সিলিং ফ্যান থাকে না।
আর এইটা হবার কারন কি? এই প্রশ্নের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। আপনি যদি নিজের বাড়িতে এসির পরিবর্তে ফ্যান লাগান সেটা অনেক ক্ষেত্রেই সাশ্রয়ী হবে। আপনি চাইলে একটি ঘরে দুটো ফ্যানও বসাতে পারেন কিন্তু কখনোই সেন্ট্রাল এসি লাগাতে পারবেন না। এর পাশাপাশি হোটেলের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ফ্যান লাগানোর চেয়ে সেন্ট্রাল এসি লাগালে অনেক বেশি সাশ্রয়ী হবে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল এসি রক্ষণাবেক্ষণ করতেও অনেক সুবিধা হয়।
এদিকে পাঁচতারা হোটেলে সিলিং ফ্যান সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারা যায় না। এর কারণ এই ফ্যান রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে মোটর জ্বলে যেতে পারে কিংবা ব্লেডের ক্ষতি হয়। অথবা ব্লেড ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পাঁচতারা হোটেলে সেন্ট্রাল কুলিং সিস্টেমের পরিবর্তে প্রত্যেকটি রুমে আলাদা আলাদা কুলিং সিস্টেম থাকে। তাই রুমের মধ্যে অনবরত ফ্যান চলতে থাকলে সেটি পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এর পাশাপাশি হোটেল কর্মীদের ফ্যান পরিষ্কার করার বাড়তি ঝামেলা নিতে হয় না। কারণ বিলাসবহুল হোটেলে কোন রকমের নোংরা দেখলে তাতে অতিথিরা বিরক্ত প্রকাশ করতে পারে। এতে হোটেলের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। তাই একেবারেই ফ্যানের ব্যবস্থা হোটেল থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে নানা রকমের বিপদ ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: এবার বিলাসবহুল হোটেলেও থাকতে পারবেন সস্তায়! কলকাতার হোটেল ভাড়ার নিয়মে বড়সড় বদল
যেমন কেউ ফ্যানের সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে থাকেন। আবার হোটেলের বিছানাগুলোতে ভারী স্প্রিং থাকে যেগুলো থেকে ছোটরা জোরে লাফালে বা ঝাঁপ দিলে বাউন্স করে সরাসরি ফ্যানে আঘাত পেতে পারে। তাই এইসব সমস্যার কথা চিন্তা-ভাবনা করে হোটেলে সিলিং ফ্যান লাগানো হয় না।