বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন বহু প্রতিভাবান তারকা রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে বিনোদন জুগিয়ে আসছেন। এরমধ্যে কিছু নাম এমন আছে যা দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে করতে দর্রশকদের ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছেন এরা। এমনই একটা নাম হলো তুলিকা বসু।
প্রায় ২৫ বছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবন। অভিনেত্রী হবেন এই চিন্তা ত্রিসীমানাতেও ছিল না তার। এমনকি অভিনয়ে এসেওছেন ছেলে জন্মানোর পর। সামান্য গৃহবধূ থেকে টলি পাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার সফরটা কেমন ছিলো তার? আজ তার বড়ো পর্দা, ছোটো পর্দা সবজায়গাতেই অবাধ বিচরণ। কিন্তু ২৫ বছর আগেও কি জীবনটা এরকম ছিলো?
১৯৯৬ সালে, প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। ‘এবার জমবে মজা’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই প্রথম অভিনয়ে আসা। শুরু থেকে অভিনয়টা ভালোই জানতেন, আর সেই কারণেই খুব শীঘ্রই পৌঁছে গেছিলেন বড়ো পর্দায়। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে। কিন্তু একজন সাধারণ গৃহবধু অভিনয়ে এলেন কীভাবে?
আসলে তুলিকা বসু্র মেসোমশাই ছিলেন একজন চিত্রনাট্যটকার। সেইসময় স্ক্রিপ রাইটার হিসেবে প্রীতম বসু ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচিত নাম। পরিচালক বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে তার বেজায় ঘনিষ্ঠতা। মাঝেমধ্যেই তুলিকাকে সিনেমা দেখাতে নিয়ে যেতেন তিনি। তিনিই তুলিকার পরিচয় করান বুদ্ধদেব বসুর সাথে। সেখান থেকে সুযোগ আসে ‘এবার জমবে মজা’ সিরিয়ালে কাজ করার।
আগেই বলেছি, অভিনয়টা ভালোই জানতেন। আর তাই প্রথম ধারাবাহিকেই বাজিমাত, জনপ্রিয়তা এতোটাই তুঙ্গে যে সিরিয়াল শেষ হতে না হতেই চলে এলো নতুন কাজের অফার। ‘মহাপ্রভু’ ধারাবাহিকের জন্য কাস্ট করা হয় তুলিকা বসুকে। কিন্তু ততদিনে অভিনেত্রীর কোলজুড়ে এসেছে একটা ফুটফুটে সন্তান। প্রথম সিরিয়াল কোনোভাবে ম্যানেজ করলেও লাগাতার কীভাবে কাজ করবেন, এই নিয়ে পড়লেন চিন্তায়।
এই প্রসঙ্গে তুলিকা জানান, ‘সেই সময় স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোক খুব সাহায্য করেছিলেন। ওরা না থাকলে সম্ভব হত না।’’ এরপর আর ঝামেলায় পড়তে হয়নি তাকে। দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক, ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন থিয়েটারেও। অন্তঃসত্তা, রং রুট, গোলন্দাজ এর মতো ছবির কথা তো আমরা সবাই জানি। নাহ্, নায়িকার চরিত্রে হয়তো দেখা যায়নি কিন্তু যে চরিত্রেই তিনি অভিনয় করেছেন তাতেই ফাটিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী তুলিকা বসু।