সবে মাত্র একটি বিধানসভা নির্বাচন হলো আমাদের পশ্চিমবঙ্গে। একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছিল তৃণমূল। বছর দেড়েক পরেই পরের বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই প্রস্তুত তৃণমূল। পরের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ২০টি পৌরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতের ভোটকে সেমিফাইনাল ম্যাচ হিসেবে দেখছে তৃণমূল শিবির।
বাংলায় ক্ষমতা জয় করার পর এবার দিল্লিকে টার্গেট করেছে তৃণমূল শিবির। সেই টার্গেট পূরণ করার জন্য ত্রিপুরা এবং গোয়া সফরে ইতিমধ্যেই চলে গেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোটের পূর্বে গতকাল মনোনয়ন পেশ করার পর দেখা গেছে, আগরতলা কর্পোরেশনের ৫১টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে যে এক ফোঁটা জায়গা ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
তবে ইতিপূর্বেই ৭ টি পৌরসভা এবং নগর পঞ্চায়েত জিতে নিয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে রয়েছে মোহনপুর, শান্তির বাজার, উদয়পুর, কমলপুর, বিশালগড়, জিরানিয়া, রানির বাজার। এই পুরসভা গুলিতে নির্বাচন করার কোন প্রয়োজন নেই কারণ এই সমস্ত এলাকায় আগে থেকেই জয়যুক্ত হয়ে রয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে যতই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হোক না কেন, বিজেপি সন্ত্রাস চালিয়ে ভোটে জিতেছে, সেগুলি কোনটাই ধোপে টেকেনি। বরং দেখা গেছে, ত্রিপুরায় মহাকুমা প্রার্থীর অভাব রয়েছে তৃণমূল শিবির থেকে।
উল্লেখ্য, পৌরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতের মোট আসন ৩৩৪ টি। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছেন ৩৩৬ জন, সিপিএম প্রার্থী দিয়েছেন ২২৭ জন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছে ১২৫ টি আসনে। ত্রিপুরা দখল করার স্বপ্ন দেখলেও এখনো সেই ভাবে আসন দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।