মা ও বাবা দুজনেই ছিলেন বলিউডের (Bollywood) নামকরা তারকা। তাই ছোট থেকেই তাঁর অবিরাম যাতায়াত ছিল স্টুডিও পাড়ায়। বড় হয়ে তিনিও অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। তবে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাননি কখনই। বলি জগতে কৌতুক অভিনেত্রী হিসেবেই বানিয়েছেন নিজের পরিচয়। কথা হচ্ছে গুড্ডি মারুতিকে (Guddi Maruti) নিয়ে।
১৯৫৯ সালে অভিনেতা মারুতিরাও পরব এবং অভিনেত্রী কমলের ঘর আলো করে আসেন গুড্ডি। তাঁর ভালো নাম তাহিরা মারুতি। তবে নিক নামেই বেশি পরিচিতি হয় তাঁর। এমন কি বলি জগতেও এই নামেই পরিচিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পরিচালক মনমোহন দেশাই বেছে নিয়েছিলেন তাঁর এই নাম।
ছোট থেকেই স্থূলকায় ছিলেন তিনি। এমনকি শরীরের বাড়তি ওজনের কারণে তার সঙ্গে মেলামেশা করতে চাইতে না স্কুলের বন্ধুরা। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন গুড্ডি। তবে এহেন শরীরের জন্যই বলিউডে এক আলাদা পরিচয় তৈরি হয় এই অভিনেত্রীর।
মাত্র ১০ বছর বয়সেই শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় জগতে পা রাখেন গুড্ডি। একটা সময় শখের জন্য অভিনয় করলেও বাবার মৃত্যুর পর গোটা পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। এরপর জোরকদমে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তবে একটা সময় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর কৌতুক অভিনেত্রী নয় বরং চরিত্রাভিনেত্রী হয়ে কাজ করবেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন ওজন কমানোর।
তবে সে সময় বাধা পেতে হয় তাঁকে। অনেকেই বলেছিলেন ভারী ওজনটাই নাকি তার পরিচয়। তাই ওজন কমিয়ে ফেললে বাড়বে প্রতিযোগিতা। এমনকি টেলিভিশনে কাজ করার জন্য আরও ১০ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ৯০ এর দশকে একের পর এক হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
বড় পর্দার পাশাপাশি চুটিয়ে অভিনয় করেছেন ছোটপর্দাতেও। তবে ২০০৫ সালে তিনি বিদায় জানান অভিনয় জগতকে। এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। ঝরিয়ে ফেলেন ওজন। এরপর ২০১৬ সালে টেলিভিশন জগতে কামব্যাক করেন গুড্ডি। তবে আর কৌতুক অভিনেত্রী নন বরং খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নেন একসময়ের জনপ্রিয় এই তারকা।