২০০১ সালে শুরু হয়েছিল তাঁর বলিউড (Bollywood) সফর। দর্শক মনে বানিয়ে ফেলেছিলেন নিজের জায়গা। প্রথম ছবি ‘তুম বিন’ সুপার ডুপার হিট করেছিল। হলে ব্যাপক ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। কথা হচ্ছে বাঙালি অভিনেতা প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়কে (Priyanshu Chatterjee) নিয়ে। হ্যান্ডসাম চেহারা এবং অভিনয় ক্ষমতার জেরে খুব কম সময়ের মধ্যেই সাফল্য পেয়েছিলেন এই তিনি।
যদিও খুব বেশিদিন টেকেনি তাঁর সেই সুসময়। পরিচালক অনুভব সিনহার সঙ্গে আরও একটি ছবিতে কাজ করেছিলেন এই অভিনেতা। ‘আপকো পেহেলে কাহি দেখা হে’ ছবিতে নায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবার হয়তো কাজের অভাব হবে না তাঁর।
যদিও ভক্তদের সেই আশা ভেসে গেছিল বিশবাও জলে। প্রথম দুটি ছবি সফল হলেও অভিনেতার সঙ্গে নাকি আর কাজ করতেই চাইছিলেন না কোন প্রযোজক। এমনকি একটা সময় নেপোটিজমের শিকার হতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
‘দিল কা রিস্তা’ ছবিতে ঐশ্বর্য্য রায়ের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর ‘পিঞ্জর’, ‘বো’, ‘জুলি’, ‘কই মেরে দিল মে হে’ শোঃ একাধিক ছবিতে অভিনয় করলেও আসেনি সাফল্য। একটা সময় মুখ্য চরিত্র ছেড়ে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করতে বাধ্য হন তিনি। এমনকি বেশ কিছু ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে অতিথি শিল্পী হিসেবেও।
২০০৭ সালে ‘বিধাতা’ ছবির হাত ধরে টলিউড জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তবে নায়ক নয় তাঁকে বেছে নেওয়া হয় খলনায়ক চরিত্রের জন্য। এরপর ‘মনের মানুষ’ , ‘ভোরের আলো’, ‘ইতি মৃণালিনী’ সহ বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।