খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে বরুণ ধাওয়ানের নতুন ছবি ‘ভেড়িয়া’। সম্প্রতি এই ছবির প্রচারেই বেজায় ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেতা। ‘দিলওয়ালে’র পর আবার এই ছবিতে কৃতি শ্যাননের সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে তাকে। ইতিমধ্যেই ছবির প্রচারের ঝলক মন কেড়েছে দর্শকদের। তবে জানেন কি, এই মুহূর্তে বেশ জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন বরুণ।
কী এই রোগ : সম্প্রতি ছবির প্রচার করতে এসে একটি অনুষ্ঠানে বরুণ জানান, ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ নামক একটি রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশনে আক্রান্ত হলে মূলত ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কার্যকারিতা আংশিক বা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এই রোগ মূলত আঘাতজনিত, সংক্রমণজনিত, জেনেটিক এবং স্নায়ুজনিত কারণে হয়ে থাকে।
আমাদের কান মূলত হাড় এবং তরুণাস্থি নিয়ে তৈরি। এই জটিল তন্ত্রের মধ্যে থাকা একটি অর্ধবৃত্তাকার অংশ তরল দিয়ে পূর্ণ। জানিয়ে রাখি, আমাদের হাঁটাচলা, নড়াচড়ার সাথে সাথে এই তরলের অবস্থানের পরিবর্তন হয়। এখন প্রশ্ন আসবে যে, এই তরলের কাজ কী? আসলে আমাদের কানের সাথে যুক্ত স্নায়ু গুলি এই তরলের মাধ্যমে শব্দতরঙ্গ আমাদের মস্তিস্কে পাঠায়। এরপরেই আমরা সেই শব্দকে বুঝতে পারি।
কিন্তু যারা ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’-এ আক্রান্ত তাদের কান ও মস্তিষ্কের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গগুলি আর কাজ করতে পারেনা। এখানে বলে রাখা ভালো, এই জটিল রোগ মস্তিষ্কের এক পাশেও হতে পারে আবার উভয় দিকেও হতে পারে। এরফলে দৈনন্দিন জীবনযাপনের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এই রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলিও জানিয়ে দেওয়া হল নীচে।
১) এই রোগ হলে মাথা ঘোরানো, শারীরিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, হাঁটাচলায় অসুবিধা, গাড়ি চালাতেও সমস্যা হতে পারে।
২) হাঁটতে হাঁটতে কোনো লেখা পড়তে গেলে তাতেও সমস্যা হতে পারে।
৩) অন্ধকারে বা এবড়োখেবড়ো রাস্তায় হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে এতে।
৪) সবচেয়ে খারাপ যা হতে পারে তা হল স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
৫) স্নায়ুবিক কার্যকলাপও বিঘ্নিত হয় এই রোগে।
সাম্প্রতিক এই সাক্ষাৎকারে বরুণ জানান, ‘‘সম্প্রতি আমি জানতে পারি, আমি ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন নামক রোগে আক্রান্ত। এই রোগে মূলত শরীরের ভরসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। খবরটা শুনে আমি বেশ ধাক্কা পেয়েছিলাম। তবে আমি নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, যে করেই হোক, সেই মানসিক পরিস্থিতি থেকে আমায় বেরিয়ে আসতে হবে। আমি আমার জীবনের উদ্দেশ্যটা খুঁজে চলেছি। আশা করছি, অন্যরাও তাদের উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে।’’