এমনিতে বিবেক ওবেরয়কে (Vivek Oberoi) বলিউডের (Bollywood) ফ্লপ তারকা হিসেবেই বেশি চেনে মানুষ। কেরিয়ারে খুব বেশি সাফল্যের মুখ তিনি দেখেননি। এছাড়া ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ফলস্বরূপ সলমন খানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়াকেও তার কেরিয়ারের অবনতির অন্যতম বড়ো কারণ হিসেবে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি অন্য একটি বিষয় নিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন বিবেক।
মজার বিষয় হলো এই যে, এই বিষয়টি কিন্তু মোটেও গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বরং তার ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনের কিছু গোপন তথ্য তুলে ধরেছিলেন ভক্তদের সামনে। অভিনেতার পোস্ট থেকে জানা যায়, তিনি যখন সবে ১৮ বছর পার করেছেন তখনই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার তৎকালীন প্রেমীকা। মারণরোগের হাত থেকে রক্ষা পাননি তিনি।
তারপর থেকেই ক্যান্সার রোগীদের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল তার৷ প্রায় ১৫ থেকে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে করেছেনও তা। কখনও প্রত্যক্ষভাবে তো কখনও আবার পরোক্ষভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাল ২০০৪ এ ক্যান্সার রোগীদের সমিতিতে যোগও দিয়েছিলেন বিবেক। আর তাই ক্যান্সার পেশেন্ট এইড এসোসিয়েশন বা সিপিএএ-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পেরে গর্বিত তিনি৷
এছাড়াও সমাজের দুঃস্থ মানুষদের জন্য তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন যা শুনলে অবাক হতে হয়। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছে তার এই সংস্থা। পাশাপাশি তাদের খাদ্য এবং চিকিৎসার দিকটারও বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এছাড়াও বিনা খরচে এইসব মানুষদের চিকিৎসা করানোর বিষয়ে দেশের বিভিন্ন ডাক্তারদের নিয়ে একটি বৈঠকও করেছিলেন বিবেক। সূত্রের খবর, এযাবৎ প্রায় ২.৫ লক্ষেরও বেশি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন বিবেক। অনস্ক্রিনে ফ্লপস্টার হলেও বাস্তব জীবনে যে তিনিই সুপারহিরো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।