কখনও বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় (Extra Marrital Affairs) জড়িয়ে পড়েছেন তো কখনও আবার বিবাহিত পুরুষের সঙ্গেই গাঁটছড়া (Marriage) বেঁধেছেন। বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী অরুণার (Aruna Irani) জীবনে রয়েছে এমন বহু বিতর্কিত অধ্যায়। বলিপাড়ায় তাকে নিয়ে চর্চা হলেও তিনি নিজে থেকে কখোনোই মুখ খুলতে চাননি। তবে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।
অরুণার মতে, ‘কোনও বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে ওই পুরুষের স্ত্রী সবসময় অপর মহিলাকে দোষারোপ করেন। যেন ওই মহিলার জন্যই তার সংসার ভেঙেছে।’ অভিনেত্রীর মতে, স্ত্রীদের খুশি রাখাটা স্বামীদের কর্তব্য। তাই বাইরের কোন মহিলার সাথে তিনি কেন সম্পর্ক রেখেছেন সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞেস করা উচিত।
বিষয়টা আরো পরিস্কার করার জন্য হেমা মালিনীর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। অরুণার দাবি, হেমা মালিনী কখনও ধর্মেন্দ্রর সংসার ভাঙতে চাননি। তিনি তো ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসেছিলেন। এতে হেমার তো কোন দোষ তিনি দেখতে পান না। এরই সাথে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের চড়াই উৎরাই নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা তো সর্বজনবিদিত। কিন্তু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন মেহমুদ। তবে, সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি। এরপর ১৯৯০ সালে কুকু কোহলিকে বিয়ে করেন। সেই সময় কুকুও বিবাহিত ছিলেন। আর তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
তবে, এতদিন পরেও মেহমুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রয়েছে অরুণার। অভিনেত্রীর কথায়, তিনি যখন কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না তখন মেহমুদ তাকে টেনে তুলেছিলেন। তার বর্তমান যশ-খ্যাতির পেছনে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনি মেহমুদ। আবার তার কেরিয়ার নষ্টের পেছনেও রয়েছে মেহমুদই–এমনটাই মত অরুণার।
কারণ তার আর মেহমুদের বিয়ের জল্পনা নিয়ে অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তরই দেননি। আর তাতেই গসিপ আরো বেড়ে যায়। এরপর কুকুকে বিয়ে করার পরেও কম কথা শুনতে হয়নি তাকে। সবে মিলিয়ে অরুণার গোটা জীবনটাই কেটেছে বিতর্কের মধ্যে।