বছর খানেক আগে টেলিভিশনের পর্দায় একটা বিজ্ঞাপন খুব দেখা যেত। জনপ্রিয় প্রোডাক্ট ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি-র সেই বিজ্ঞাপনের চেহারাটা খুব পরিচিত হয়ে উঠেছিল ভারতীয়দের কাছে। তার কিছুদিন পর বলিউডের ছবিতেও দেখা যায় সেই মুখ। এতক্ষণে হয়তো বুঝেই গেছেন যে আমরা কার কথা বলছি।
টিনসেল নগরীর প্রতিভাধর অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইয়ামি গৌতম। যে কয়টা ছবি বা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন তার প্রত্যেকটাতেই দেখা গেছে নায়িকার নিখুঁত অভিনয়ের ঝলক। খুব অল্প সময়েই মানুষের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। তবে জানেন কি, ছোট থেকে তার অভিনেত্রী হওয়ার সেরকম কোনো ইচ্ছেই ছিলনা।
জানলে অবাক হবেন যে, ইয়ামি (Yami Gautam) ছোট থেকেই একজন আইএএস (Indian Administrative Service) অফিসার হতে চেয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে জানিয়ে রাখি যে, ইয়ামির বাবা মুকেশ ছিলেন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র পরিচালক। কিন্তু তা সত্বেও অভিনয়ে (Acting) আসার কোনোরকম ইচ্ছেই তার ছিলনা।
ছোট থেকে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের দুনিয়ায় থাকলেও গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যাওযার। আর সেজন্য স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে স্নাতকস্তরে কলেজে ভর্তি হন আইন পড়বেন বলে। পড়াশোনাতেও দারুন তুখোড় ছিলেন ইয়ামি।
তো এই ইয়ামিই ২০ বছর বয়সে ঠিক করেন, তিনি গ্ল্যামার জগতে আসবেন। পরবর্তী সময়ে অভিনয়কে নিজের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিলেও পড়াশোনাতে মোটেই ঢিল দেননি। পরে ডিস্টেন্সে নিজের স্নাতক সম্পূর্ন করেন অভিনেত্রী। সাথে ‘চাঁদ কে পার চলো সে’ ধারাবাহিকের হাত ধরে বি টাউনে পা রাখেন।
এর কয়েক বছর পরেই সুযোগ আসে আয়ুষ্মান খুরানার সাথে ‘ভিকি ডোনার’ ছবিতে কাজ করার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ইয়ামিকে। এরপর কাবিল, অ্যাকশন জ্যাকসন, সানাম রে, বালা-র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। বছর দুই আগে বিয়ে করেছেন আদিত্য ধরকে। তবে এখন ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন খুব শীঘ্রই নাকি বলিউড ছাড়তে চলেছেন ইয়ামি।