বলিউড তারকা মানেই ঝাঁ চকচকে লাইফস্টাইল। কর্মজগৎ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন হাজার কাজে নিত্যদিন দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করতে হয় তাদের। আর এর জন্য ফ্লাইটই তাদের একমাত্র বিকল্প। এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনই আরামে ভ্রমণও করতে পারেন তারা। তবে কিছু তারকা এমনও আছেন যাদের ফ্লাইটের ‘ব্যাড বিহেভিয়ার’ ক্যাপচার হয়েছে। আর এইসব খারাপ ব্যবহারের নেপথ্য কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
কঙ্গনা রানাউত : ‘দ্য তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও একবার ফ্লাইটে বেশ বাজে রকম ক্যাট ফাইটে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সূত্রের খবর, কঙ্গনা সাধারণত তার সেক্রেটারির সাথে ভ্রমণ করেন। সাধারণত নায়িকার সেক্রেটারি ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণ করেন। শোনা যায় কঙ্গনা বিমানের এয়ারহোস্টেসদের অর্ডার করেন, ইকোনমি ক্লাসে বসা সেক্রেটারির প্রতিটি প্রয়োজনের বিশেষ খেয়াল রাখতে।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন : ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অত্যন্ত ডিমান্ডিং একজন অভিনেত্রী। ফ্লাইটে ভ্রমণকালে তার জন্য সমস্ত খাবারের স্যাম্পেল আনতে অর্ডার করেন তিনি। তার থেকে যেটা পছন্দ হয় তিনি সেটা অর্ডার করেন।
রণবীর সিং : ‘দিল ধড়কনে দো’ অভিনেতাও ফ্লাইটে বাজে ব্যবহার করার জন্য বিখ্যাত। গুন্ডে ছবির জন্য যখন রণবীর কলকাতায় আসছিলেন তখন তখন এয়ার-হোস্টেস তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি নিরামিষ বা আমিষ খাবার খেতে চান। রণবীর নিশ্চিত ছিলেন না যে তিনি কী খেতে চান এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন। পরে আমিষ চাইলে এয়ারহোস্টেস জানান যে এটি শেষ হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি খুবই বাজে ব্যবহার করেন তাদের সাথে।
ক্যাটরিনা কাইফ : মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যাটরিনা কাইফ ফ্লাইটে থাকাকালীন ক্রুদের (এয়ার স্টুয়ার্ডস/স্টুয়ার্ডেস/ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট) সাথে কথা বলেন না। তার কিছু প্রয়োজন পড়লে তা নিজের সেক্রেটারিকে বলেন। একবার এক এয়ারহোস্টেস ক্যাটরিনাকে তার সিট সোজা করে তার সিটবেল্ট লাগাতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ক্যাটরিনা সেইসময় ঘুমিয়ে থাকায় এয়ারহোস্টেস তাকে জাগিয়ে তোলেন এবং তাকে টেক অফের নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করেন। শোনা যায়, ক্যাট এতে রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনি আমাকে স্পর্শ করার সাহস কীভাবে করেন? আপনি জানেন না আমি কে?’
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : সহযাত্রীদের সাথে বাজে ব্যবহার করার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্রিয়াঙ্কা। একবার ফ্লাইট চালু হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কা ফোনে কথা বলছিলেন বলে খবর। তখন তাকে তার সহযাত্রী ডক্টর ফায়াজ শল নিজের ফোন বন্ধ করতে বললে অভিনেত্রী তা অস্বীকার করেন। পাশাপাশি খুব বাজে ভাষাও ব্যবহার করেন প্রিয়াঙ্কা।