ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির হিট তারকাদের কথা বললে সবার আগে যে নামটা আসবেই তা হল গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী ওরফে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কারো কাছে তিনি জিমি তো কারো কাছে তিনি মহাগুরু। কেউ কেউ আবার ডিস্কো ড্যান্সার বলে ডাকতেও বেশ পছন্দ করেন। আজ ৭২ বছর বয়সেও তিনি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা অনেক উঠতি নায়কের কাছে বেশ ঈর্ষণীয়।
উল্লেখ্য, নতুন শতাব্দীর একদম গোড়ার দিকে একাধিক বি গ্রেড ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। যে মিঠুনের অভিনয়, নাচে আসমুদ্রহিমাচল, সেই মিঠুন নাকি বি গ্রেড ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এই প্রশ্নটা প্রায়শই মাথা চাড়া দেয় মিঠুন ভক্তদের। টাকার অভাব নাকি অন্যকিছু? সম্প্রতি সেই বিষয়েই মুখ খুললেন অভিনেতার বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো চক্রবর্তী।
মাস কয়েক আগেকার এক ইন্টারভিউতে মিঠুনের ছোট ছেলে নমশী বলেন ‘গুন্ডা’র মতো বি-গ্রেড ছবিতে কাজ করাটা মিঠুনকে সাজে না। তাঁর ওই ছবি করা উচিত হয়নি। মিমোর কথায়, ‘আমাদের চেয়ে মা বাবার উত্থান-পতনটা খুব কাছ থেকে দেখেছে। যখন আমরা ছোটছিলাম তখন বাবার একটা ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ করলেই উনি অবসাদে ভুগতেন। চারটে শিফটে কাজ করতেন উনি… এখানে ভ্যানিটি ভ্যানের প্রচলনে বাবার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে’।
এই বিষয়ে তিনি তার ভাইয়ের সম্পূর্ণ বিপরীত। অভিনেতার বি গ্রেড মুভিকে সমর্থন করে মিমো বলেন, ‘উনি আমাদের জন্যই ওই ছবিগুলো করেছেন। ওঁনার হোটেল ব্যবসার জন্য। তখন উটিতে শ্যুটিং হলেই বলিউড বা দক্ষিণী ছবির গোটা ইউনিট আমাদের হোটেলে থাকত, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো। বাবা টাকার জন্য ছবিগুলো করেছে। তার মানে এই নয় যে প্রযোজকদের টাকা জলে গিয়েছে। ৭০ লক্ষ টাকা বাজেটের ছবি বক্স অফিসে ১ কোটির রিটার্ন দিয়েছে।’
মিমোর সংযোজন, ‘আজও উনি থেমে নেই। উনি ডান্স বাংলা ডান্স, ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স করছেন… বাবা যা করে সবটা পরিবারের জন্য। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি বাবার ভাবনায় পরিবারই শেষ কথা’। এমনিতেও মিঠুনের স্ট্রাগলের সাথে অনেকেই পরিচিত। রাস্তা থেকে উঠে এসে যেভাবে বলিউডে রাজ শুরু করেছিলেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। বাবার স্ট্রাগলের গল্প শুনলে ভাই-বোনেরা শিউরে উঠে জানান মিমো।