পার্থ মান্নাঃ ৯ই আগস্টের বিভীষিকাময় রাত আজও ভুলতে পারেনি কেউ। আরজি কর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে এক হয়েছে গোটা বাংলা তথা দেশ। এমনকি দুর্গাপুজোর মাঝেও প্রতিবাদ করতে ভোলেননি সাধারণ মানুষ। অথচ পুজোর মণ্ডপে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেওয়ার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৯ জনকে। এবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়ল খোদ রাজ্য পুলিশ।
গত সপ্তমীর সন্ধ্যায় ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো মণ্ডপে কিছুজন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখনই পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ৯ জনকে। এই সময় তিনজন পুলিশকৰ্মীরাও আহত হন। পরবর্তীকালে আহতদের শুধুমাত্র ব্যাথ্যা ও হজমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্ট এই ধৃত ৯ জনকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয়।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের যুক্তি ছিল আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা ছিল। যদিও এই যুক্তি মোটেই মানতে চাইনি হাইকোর্ট। উল্টে বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই ধৃতদের ১০০০ টাকার বন্দে জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসাথে আরও একটি নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে।
হাইকোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার যে পুজোর কার্নিভাল আয়োজন করবে সেখানে ‘ডিস্টার্ব’ করা যাবে না। অর্থাৎ কার্নিভালের সময় কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা যাবে না। এছাড়াও হাইকোর্ট আরো নির্দেশ দিয়েছে পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে বিক্ষোভ বা স্লোগান তোলা যাবে না।
প্রসঙ্গত, এদিনের ঘটনায় আদালতের তোফা থেকে রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়, ‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।’ এদিকে জামিন দেওয়া হলেও কাগজপত্রের জটিলতার কারণে শুক্রবার জামিন হয়নি। শনিবার সন্ধ্যের ৭টার পর রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে জামিন দেওয়া হয়।