একুশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে সমস্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাঁকুড়া শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরি। চন্দনা বাউরিকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়, কারণ চন্দনা বাউরি ছিলেন একজন সাধারণ রাজমিস্ত্রির পত্নী। ভোটে দাঁড়ানোর পরে জোরকদমে প্রচার শুরু করেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন চন্দনা বাউরি। এমনকি মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও চন্দনা বাউরির হয়ে প্রচার করতে গিয়েছিলেন। রাতারাতি রাজ্য রাজনীতির বাইরের সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন চন্দনা বাউরী। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে নিজের ক্ষমতার প্রমান দেন চন্দনা বাউরি। সেই সঙ্গে সারা বাঁকুড়াবাসীর মন জয় করে নেন তিনি।
এমনকি বিধায়ক হওয়ার পর বিধায়ক হিসেবে তিনি কত টাকা বেতন পাবেন সেটাও জানতেন না বিজেপির সবথেকে গরীব বিধায়ক চন্দনা বাউরি। নিজের বেতনের অংক শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন নিজের বেতনের টাকা দিয়ে তিনি এলাকার গরিব মানুষদের সেবা করতে চান। চন্দনা বাউরির এমন মনোভাবের জেরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি।
ফের একবার শিরোনামে উঠে এলেন চন্দনা বাউড়ি। তবে এবার তার কাজের জন্য নয়, দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্যই তিনি শিরোনামে উঠে এলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি উঠেছে চন্দনা বাউড়ি বিয়ে করেছেন গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুকে। তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাটি পুরোপুরি ভাবে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন চন্দনা বাউড়ি। তাঁর দাবি, বিরোধীরা চক্রান্ত করে তার নামে এমন কুৎসা রটাচ্ছে, এটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো।