কেবলমাত্র দেশে নয় বিদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। কেবলমাত্র একটি গান গেয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকলের প্রিয় ‘বাদাম কাকু’। রেডিও থেকে শুরু করে যে কোন বড় অনুষ্ঠান সর্বত্রই শোনা যেত এই গান। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ময়দানেও ভোট প্রচারে তারকা প্রচারক হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি বীরভূমের(Birbhum) দুবরাজপুরের ভুবন বাবু (Bhuban Badyakar)।
একটা সময় সাইকেলে করেই তিনি বিক্রি করতেন কাঁচা বাদাম। সাধারণ মানুষ যাতে তাঁর বাদাম কেনেন সে কারণে বেঁধে ফেলেছিলেন একটি গান। সেই গানই বদলে দিয়েছিল তাঁর ভাগ্য। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি তিনি ভাইরাল হয়ে যান। গান রেকর্ডিং করে মালিক হন কয়েক লক্ষ টাকার। কিনেছিলেন চারচাকা গাড়ি। বানিয়েছিলেন সাধের বাড়ি। কিপ্যাড ফোন নয় বরং হাতে এসেছিল আইফোন।
একটা সময় আরও জনপ্রিয়তা পেতে ইউটিউব চ্যানেল পর্যন্ত খুলে ফেলেছিলেন ভুবন বাদ্যকর। নিত্যদিন সেখানে গান আপলোড করতেন তিনি। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাঁর জীবন। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছুতে পড়ল ফুলস্টপ। হঠাৎ করেই বদলে গেল চেনা চিত্রটা। খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না ভুবন বাদ্যকরের ভালো সময়।
মাত্র কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কাঁচা বাদাম উচ্চারণ করলেই নাকি ইউটিউব থেকে আসছে কপিরাইট। আর গান গাইতে পারছেন না তিনি। বন্ধ হয়ে গেছে রোজগার। এই ঘটনার জন্য গোপাল ঘোষ নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভুল বুঝিয়ে ইংরেজিতে লেখা একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত। সেই কাগজে সই করে তিন লক্ষ টাকা হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ভুবন বাদ্যকরের। জানানো হয়েছিল আগামীতে যা রোজগার হবে তার ৬০ শতাংশ পাবেন ভুবন এবং বাকি ৪০ শতাংশ পাবেন গোপাল।
এখানেই শেষ নয়। বহু কষ্ট করে তৈরি করা সাধের ঘর নাকি ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সপরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতেই থাকছেন তিনি। মাসে মাসে গুনতে হচ্ছে ২৭০০ টাকা। তবে সেই টাকাই বা কোথা থেকে আসবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না সকলের প্রিয় বাদাম কাকু। ফলে বর্তমানে চরম সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।