টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিঠাই’। একটা সময় টেলি দুনিয়ায় রাজ করলেও বর্তমানে বাকিদের চেয়ে একটু পিছিয়েই পড়েছে সিরিয়ালটি। আর চলতি বছরের ট্রেন্ড সম্পর্কে তো সকলেই জানেন। টিআরপি তালিকায় নাম পেছোলেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেই সব সিরিয়ালের খাতা। আর এবার এইরকমই একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ‘মিঠাই’-র ক্ষেত্রেও।
বিগত কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, এবার নাকি বন্ধ হবে উচ্ছে বাবু আর মিঠাইয়ের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি। যদিও এখনও পর্যন্ত এর কোনো রেখাপাত দেখা যায়নি। এইমুহুর্তে সিরিয়ালের টিআরপি তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্মাতারা। এমনকি দর্শক টানতে ধারাবাহিকে ফিরিয়ে এনেছে হালুমকেও। হালুমের উপস্থিতিতে দর্শকরা খানিকটা সন্তষ্ট হলেও আদৌ মিঠাই তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
যারা মিঠাইয়ের নিয়মিত দর্শক, তারা হয়তো হালুমকে মনে করতে পারবেন। ছোট্টো একরত্তি একটা অবাঙালি ছেলে সে। বেচারা এইপর্যন্ত একটাই বাংলা শব্দ শিখেছে আর তা হল…..’মিঠাই’। এপিসোডটি দেখার পর ভক্তদের অনেকেই হালুমকে আবার ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছে। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে আনার কোনো প্ল্যান করছে কি না তা জানা না গেলেও অন্য একটা খবর মিলেছে ঘনিষ্ঠ মহল থেকে।
আর এই খবরের পর বেজায় চটেছে মিঠাই অনুরাগীরা। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই নাকি স্লট বদলাতে চলেছে ‘মিঠাই’-র। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিকের প্রোমোর পরে পরেই দর্শক মাঝে একটা উত্তেজনা কাজ করছিলো যে এই নতুন সিরিয়ালকে জায়গা করে দিতে মিঠাই শেষ করে দেওয়া হবে কিনা? সূত্রের খবর, মিঠাই নয়, বন্ধ করা হচ্ছে অপর একটি ধারাবাহিক ‘পিলু’কে।
আর যেহেতু ‘মিঠাই’-র টিআরপি দিনদিন কমছে তাই তার স্লট বদলে আনা হবে ‘পিলু’র জায়গায়। আর মিঠাইয়ের এই সময় পরিবর্তন একপ্রকার বন্ধ হওয়ার খবরেই শিলমোহর পড়ার মতো। কারণ পিলু দেখানো হতো সন্ধ্যা ৬ টায় এবং মিঠাই আসতো রাত্রি ৮ টায়। এমনিতেই সন্ধ্যা সময় অনেকেই টিভি খোলারও সময় পায়না। এমতাবস্থায় টিআরপি বাড়া তো দূর উল্টে আরো কমবে বলেই ধারণা ভক্তদের।
যদিও এই বিষয়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনো অফিশিয়াল ঘোষণা আসেনি। তবে স্টুডিওপাড়ার কিছু ঘনিষ্ঠ সূত্রের তো এমনটাই দাবি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ‘মিঠাই’ অনুরাগীরা ক্ষুব্ধ তো বটেই পাশাপাশি অনেকে আবার মন্তব্য করেছে যে, এর থেকে সসম্মানে সিরিয়ালটি শেষ করে দেওয়াই বোধহয় ভালো ছিলো। সর্বোপরি ‘মিঠাই’ এবং তার ভক্তদের মধ্যে একটি টানটান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।