‘আমি জায়গা ছাড়তে বুম্বা এক নম্বরে জায়গা পেলো’, ৭৩তম জন্মদিনে অকপট চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বরাবরই তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলতে ভালোবাসেন। মুখের ওপরই যোগ্য জবাব দিতে কখনো ভয় পান না। টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেতা নিজের বয়সের কখনোই তোয়াক্কা করেন না। এমনকি তিনি মনে করেন এতদিন পর্যন্ত তিনি যা উপার্জন করেছেন সবকিছুই সৎ পথে। আর তাই খোলাখুলি কথা বলতে কখনোই পিছপা হন না চিরঞ্জিত চক্রবর্তী(Chiranjeet Chakraborty)।

সম্প্রতি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলোচনা করেছেন অভিনেতা। এদিন তার বয়স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার আসল বয়স প্রকাশেই জানিয়ে দিয়েছেন। উইকিপিডিয়ার তথ্য ভুল আছে বলে তিনি বলেন তার এটা ৭৩ তম জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিন তিনি কখনোই আলাদাভাবে সেলিব্রেট করেন না। বাড়িতে নিজের কাছের মানুষদের সঙ্গে কেক কেটে সময় কাটান।

তার জন্মদিনের রেজোলিউশন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে এই রেজোলিউশন সম্পর্কে তিনি বিশ্বাস করেন না বহুদিন আগে তিনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ ৫০ বছর ধূমপান করার পর হঠাৎ তার একদিন মনে হয়েছে তাই ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। এমনকি তার যদি কোনদিন মনে হয় তাহলে তিনি মদ্যপান ছেড়ে দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। কোন রকমের কেচ্ছা কেলেঙ্কারিতে তিনি নেই সেকথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি যখন এক নম্বর অভিনেতা ছিলেন সেই সময়টা অনুভূতি কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে চিরঞ্জিত বলেন, ‘ভালই লাগতো। তখন তো আর সেলফি ছিল না। হাজার হাজার অটোগ্রাফ দিতাম। অভিনেতা হিসেবে ও দায়িত্ব বেড়ে গেল।’ এরপরেই প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে তার পেশাগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে প্রসেনজিৎ তার নামে প্রশংসাই করেছে। তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক বেশ মধুর। চিরঞ্জিত বলেছেন, ‘হি ইস এ ভেরি গুড বয়’।

এরপরে প্রসেনজিতের মতো অ্যাকশন হিসেবে হিরো হিসাবে ছবি করার প্রসঙ্গে চিরঞ্জিত বলেন, ‘ও যেমন লেগে থেকে একটা ছবি তৈরি করে। আমি তো ছবি চাই না। কে কী ছবি করছে, তা জানতে কখনও ফোনও করিনি। এটা মনে হয়, নজির হতে পারে। এক জন অভিনেতা, যে কিনা তার গোটা কেরিয়ারে কোনও দিন হাত পেতে কাজ চায়নি। এমনকি, কোনও দিন তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, প্রভাত রায় বা সুজিত গুহর কাছেও ছবি চাইনি। গৌতম ঘোষ আমার বন্ধু। ওঁকেও তো কোনও দিন বলিনি যে, আমাকে ছবি দাও। আমার কাছে এখনও প্রতি দিন একটা করে চিত্রনাট্য আসে। পছন্দ হলে কাজটা করি। বাড়ি-গাড়ি আছে, ভালই আছি। আরও টাকা চাই, দশটা বাড়ি, দুটো বাংলো চাই। এ দিকে তার কোনওটায় থাকতেই পারি না! সেই জীবন আমি কোনও দিনই চাইনি। গরু পাচার বা কয়লা পাচারে নাম জড়াতে চাই না।’

Avatar

Papiya Paul

X