নিউজশর্ট ডেস্কঃ করোনা লকডাউনের সময় থেকে ভাইরাল হয়েছিলেন ডালহৌসি চত্ত্বরে নন্দিনীদির পাইস হোটেল (Nandini Didi Pice Hotel)। ফুটপাতে ভাত-তরকারি বিক্রি করে রাতারাতি নেট দুনিয়ার জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সকলের কাছে তিনি নন্দিনীদি হিসেবেই পরিচিত। এমনকী, সিনেমায় অভিনয়ও শুরু করেন। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে হঠাৎই পড়ল বিনা মেঘে বজ্রপাত।বন্ধ হয়ে গেল তাঁর ভাতের হোটেল। সম্প্রতি এক ভিডিয়োতে এমনই বার্তা দিলেন নন্দিনী নিজেই।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুন, নবান্নে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন ফুটপাত জুড়ে অবৈধ দখলদারি বন্ধ করতে হবে।সেই সঙ্গে ফুটপাত জুড়ে থাকা দোকানগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১ মাস সময়ও দিয়েছিলেন হকারদের। এই পরিস্থিতিতে ফুটপাতে চালানো দোকান বন্ধ করতে হল নন্দিনীদি-কে।
বন্ধ হয়ে গেল নন্দিনীদির ভাতের হোটেল
নন্দিনী এর আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ডালহৌসির দোকানটি তাঁকে ছাড়তে হতে পারে। কারণ সেটি ভাড়ায় নেওয়া। আর সেই ভয়ই সত্যি হল। নন্দিনী এক কনটেন্ট ক্রিয়েটারকে জানালেন, দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘বলতে পারো জোর করা হয়েছে। আমার বলার কিছুই নেই। আমার বাবাকে ভাড়ায় দিয়েছিল। বাবা লকডাউনের আগে নিয়েছিল। নিজের জিনিসে প্রভাব খাটানো যায়। অন্যের জিনিসে যায় না।’
আরও পড়ুনঃ কারেন্টের বিল নিয়ে নো চিন্তা! ৩০০ টাকার ছাড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের, দেখুন আপনি পাবেন কি না?
কোথায় হবে নন্দিনীদির দোকান?
দোকান বন্ধ হলেও তিনি কিন্তু বেকার নন। কারণ নন্দিনী মাসখানেক আগেই দোকান খুলেছিলেন নিউটাউন চত্বরে। যার নাম রেখেছিলেন নন্দিনীদির হেঁশেল। আপাতত তাঁর হাতের খাবারের স্বাদ নিতে নিউটাউনই যেতে হবে সকলকে।সেই ভিডিয়োতে নন্দিনীকে আরও বলতে শোনা গেল, ব্যবসার কথা বললে, এখানে আরও বেশি রোজগার হচ্ছে।’
তবে নিন্দুকরা বলছে, আগের মতো আর ভিড় নেই নন্দিনীর নিউ টাউনের দোকানে। গ্রাহকদেরও অভিযোগ আসছে ঝুরিঝুরি। ডালহৌসিতে যে ক্রেজ থাকত নন্দিনীকে ঘিরে, তা এখন উধাও! এই ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘ফুটপাতে দোকান, এমন হাবভাব, ফাইভ স্টার হোটেলের মালিকেরাও দেখায় না। ফুটপাতে দোকান কোথায় সাধারণ অসহায় মানুষ একটু কম পয়সায় খাবে তা না, খালি বড় বড় কথা, দাম বাড়িয়েই চলেছে, ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য’।
আরেক জন লিখলেন, ‘নিউটাউনে দোকান এখন, কিন্তু চলে না, কারণ প্রচুর দাম নেয়। অথচ আশেপাশে প্রত্যেকটা দোকান রমরমিয়ে চলে। ডালহৌসিতে যখন দোকান ছিল সাধারণ মাছ ভাতের দাম নিতো ৮০ টাকা। ওর ঠিক পাশের দোকানে ৪৫ টাকা। এটা কি মানা যায়?’ তবে আগামী দিনে কি হয় সেটা সময় পেরোলেই বোঝা যাবে।