নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাহাড় বলতে শুধুমাত্র দার্জিলিং(Darjeeling) নয়, দার্জিলিং-এর আশেপাশে এমন অনেক লোকেশন রয়েছে যার সম্পর্কে এখনো বহু মানুষ জানেন না। আর তাই পর্যটকদের ভিড়ও সেখানে অনেক কম হয়। একটু নিরিবিলি নির্জন এলাকায় একান্তে সময় কাটানোর জন্য এইসব অফবিট জায়গাগুলো একদমই পারফেক্ট। তার সাথে সাথে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে মন ভরে যাবে।
আজকের এই প্রতিবেদনে দার্জিলিং-এর এমন এক অজানা লোকেশন(Offbeat Location) সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। জায়গাটির নাম হল ‘নয়াবস্তি’Naya Basti)। দার্জিলিং থেকে একদম কাছেই রয়েছে এই এলাকা। তবে তাকে পুরোপুরি দার্জিলিং বলা চলে না। এখানে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখতে পারবেন। দার্জিলিং-এর তুলনায় নয়া বস্তিতে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ দেখলে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা ভালো করে দেখতে গেলে টাইগার হিলে যেতে হয়। নয়া বস্তিতে এলে আপনি আপনার হোমস্টের ঘরে বসেই কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ দেখতে পাবেন। চারিদিকে মনোরম পরিবেশ। যে পরিবেশের সৌন্দর্যের কথা লেখনীতে প্রকাশ করা অসম্ভব। এখানে পাহাড় মিশে গিয়েছে আকাশের সঙ্গে। মেঘ, পাহাড় আর আকাশ একেবারে মিলেমিশে রয়েছে। আপনি জোড়বাংলো থেকে পেশক যাওয়ার রাস্তাতেই এই নয়া বস্তি পেয়ে যাবেন।
এখানে রাস্তার সৌন্দর্য আলাদা এক অনুভূতি এনে দেবে। জানলা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকলে দেখতে পাবেন মেঘ আর পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা। যে কোন ঋতুতেই এই জায়গার সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। তবে বর্ষার পর এখানকার সৌন্দর্য যেন এক স্বর্গীয় দৃশ্য উপলব্ধি করতে শেখায়। চারিদিকে সবুজ ঘন গাছ আর পথের আশেপাশে মেঘ যেন পাহাড়ের পেছন থেকে লুকোচুরি খেলতে থাকে। আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখতে গেলে এই নয়াবস্তি কিন্তু একদমই পারফেক্ট জায়গা।
তার কারণ যদি শুধুমাত্র দার্জিলিঙে ঘুরতে চান তাহলে মাঝরাতে উঠে আপনাকে যেতে হবে টাইগার ঢিলে। সেখানে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আপনি যদি নয়া বস্তিতে আসেন তাহলে সেখানকার হোমস্টের ঘরের জানালা থেকে কিংবা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখতে পারবেন। আপনাকে আর রাত দুটোর সময় উঠে টাইগার হিল যেতে হবে না।
কিভাবে যাবেন?
জোড়বাংলো থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই জায়গা। তাই জোড়বাংলো থেকে যে কোন একটি গাড়ি বুক করে আপনি অনায়াসেই চলে আসতে পারেন নয়াবস্তি।