নিউজ শর্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ আমাদের দেশের সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পীঠস্থান বলেই পরিচিত। সারা দেশে তো বটেই বিদেশিদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তাই বছর বছর বহু বিদেশী পর্যটকরাও ভিড় জমান দার্জিলিংয়ে। এমনিতে ‘পাহাড়’ শুনলেই ভ্রমণপিপাসু বাঙালির মনে প্রথমেই আসে দার্জিলিংয়ের নাম। তবে শুধু দার্জিলিং (Darjeeling) নয়, বাঙালির ঘুরতে যাওয়াই অসসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি না, কালিম্পংয়ের (Kalimpong) ডেলো পাহাড় (Deolo Hill) না যাওয়া হয়।
ডেলো পাহাড় হল রেলি উপত্যকা আর উত্তরে কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষারাবৃত পর্বতশ্রেণি আর কিছুটা সিকিমের পাহাড়চূড়া কিংবা তিস্তা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করার এক আদর্শ জায়গা। ছবির মতো সুন্দর পশ্চিমবঙ্গের ডেলো পাহাড় রূপের ডালি নিয়ে বছরভর স্বাগত জানায় ঘুরতে আসা অতিথিদের। তাই কালিম্পং-এ বেড়াতে এলে এই সুন্দরী পাহাড়ে যেতে ভুলবেন না কেউ।
ডেলো পাহাড় কোথায় অবস্থিত?
পর্যটকদের মধ্যে ইদানিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়ছে কলকাতা থেকে প্রায় ৬২৬ কিলোমিটার উত্তরে কালিম্পং শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই ডেলো পাহাড়ের। ডেলো পাহাড়ের পশ্চিমে দার্জিলিং এবং পূর্বে নায়োরা উপত্যকা উপস্থিত। ডেলো পাহাড়ের পূর্ব দিকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে ভুটানের সীমানা শুরু হয়ে যায়।
ডেলো পাহাড় কেন বিখ্যাত?
এই পাহাড়ের অনেকগুলি বিশেষত্ব রয়েছে। কালিম্পং শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই পাহাড়টি কালিম্পংয়ের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত। কালিম্পং শহরের চারপাশে অবস্থিত সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হল ডেলো পাহাড়। শীত- গ্রীষ্ম – বর্ষা বছরভর মেঘে ঢাকা থাকে এই পাহাড়। এখানে সর্বত্র রয়েছে সবুজের সমারোহ।
আরও পড়ুন: শুধু লাগবে ২-৩ টা মেশিন, এই ব্যবসায় রোজ আয় ৫০০০ টাকা! রাতারাতি হবেন লাখপতি
ডেলো পাহাড় কেন পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত?
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড় পর্যটকদের কাছে বরাবরই খুবই স্পেশাল। প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এই পাহাড়টির সৌন্দর্য্য স্বর্গের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ডেলো পাহাড়ের চা বাগান, রঙিন ফুল, ঘন বন এবং জলপ্রপাত এখানকার সৌন্দর্য্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
ডেলো পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান:
ডেলো পাহাড়ের আশেপাশে অনেক সুন্দর ঘোরার জায়গা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ডারপিন দারা পাহাড়, থারপা চোলিং মঠ, মরগান হাউস, থংসা গোম্পা এবং মঙ্গল ধাম মন্দিরের মতো জায়গাগুলি। ডেলো পাহাড় শুধু তার সৌন্দর্যের জন্যই নয়, ট্রেকিং এবং হাইকিংয়ের জন্যও বিখ্যাত। এছাড়া এই পাহাড় ছবি তোলার জন্যও একেবারে আদর্শ জায়গা।