বর্তমান বাংলায় যে কয়জন প্রথম সারির অভিনেতা রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেতা দেব অধিকারী (Dev Adhikari)। রিমেক আর বস্তাপচা একই গল্পের কারণে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যে বুঝতে বসেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এমতাবস্থায় যদি কেউ দর্শকদের চাহিদা বুঝে বাংলা সিনেমার উন্নতির কথা ভেবে চলেছেন তাহলে সেই মানুষটা নিঃসন্দেহে দেব।
নতুন ধরনের গল্প, নতুন ধরনের কাজ মানুষকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি, যা এককথায় প্রশংসনীয়। এই রকমই একটি ছবি হলো ‘কাছের মানুষ’। যা আজই অর্থাৎ মহাপঞ্চমীর দিন মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে। দেব এবং প্রসেনজিৎ-র এক অদ্ভুত মেলবন্ধন দেখা যাবে এই ছবিতে। আর এইদিন ছবি নিয়েই আড্ডা দিতে বসেছিলেন অভিনেতা তথা প্রযোজক দেব অধিকারী।
ইতিমধ্যেই ছবির গান এবং ট্রেলার ব্যাপক পছন্দ করেছে মানুষ। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই এইসব গান ঘুরছে বাংলার মানুষের মুখে মুখে। অনেকে তো ফোনের রিংটোনও বানিয়ে ফেলেছে গানগুলি। আসলে ‘কাছের মানুষ’র ট্রেলার থেকে গান সবকিছুই ভীষণ সময়োপযোগী। দেখানো হয়েছে ডিপ্রেশনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ও। সম্প্রতি এই বিষয়টা নিয়েই নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন এই টলিউড নায়ক।
আসলে এদিন আড্ডার মাঝে উঠে আসে ‘ডিপ্রেশন’-র কথা। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, একটা সময় তিনিও নাকি ডিপ্রেশনে ভুগতেন। রাজনীতিতে আসার পর থেকে একটার পর একটা ছবি ফ্লপ হয়েছে। এমনকি পরিচিত নায়ক, নায়িকা, পরিচালক সকলেই এড়িয়ে চলতেন। এমতাবস্থায় অনেকেই নাকি বলতেন যে, দেব এবার শেষ।
কিন্তু সত্যিই কি তাই? নিজের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি সফল ছবির উদাহরণ টেনে বলেন, জীবনে কোন কিছু শেষ হওয়া মানে জীবনটা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সব পরিস্থিতি থেকেই ফিরে আসা যায়। ঠিক যেভাবে তিনি ফিরে এসেছেন। পাশাপাশি আসন্ন ছবির গল্প প্রসঙ্গেও হালকা করে মুখ খুললেন অভিনেতা।
জানালেন, কাছের মানুষ সিনেমায় ডিপ্রেশন দেখানো হলেও এই সিনেমা কিন্তু একেবারেই ডিপ্রেশিং সিনেমা নয়। বরং জীবনের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে এই সিনেমা। এই গল্প মানুষকে বোঝাবে কীভাবে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে আসা যায়। এই গল্প দেখাবে নতুন আলোর দিশা। আর তার সাথে তো উপরি পাওনা হিসেবে রয়েইছে প্রসেনজিৎ আর দেবের মতো সুপারস্টারের যুগলবন্দী।