নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালির সপ্তাহান্তে ছুটি কাটানো হোক বা কম বাজেটে কিছুদিনের ভ্রমণ প্রথম পছন্দ দিঘার সমুদ্র সৈকত। এমনিতে কম খরচে দিঘা (Digha) যেতে গেলে ট্রেনই বেস্ট। তবে চাইলে প্রাইভেট গাড়ি কিংবা গাড়িতেও অনায়াসেই ৩-৪ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় সমুদ্রনগরীতে। এছাড়া খুবশীঘ্রই দিঘা যাওয়ার জন্য বিলাসবহুল প্রমোদতরী চালু হতে চলেছে বলেও জানাগিয়েছে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকেই এইখবর জানানো হয়েছিল। তবে তার আগেই আরও একটি সুখবর মিলল।
দিঘা মানেই সমুদ্র সৈকত একথা সকলেরই জানা। তবে শুধুই ওল্ড দিঘা বা নিউ দিঘার বিচ নয় এখানে আরও একাধিক দেখার মত জায়গা রয়েছে। একইসাথে জোর কদমে চলছে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের কাজ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই তৈরী করা হচ্ছে মন্দিরটি। যেটা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বলে আশা রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যব্যসায়ীদের।
এদিকে ত্রুজ পরিষেবার সাথেই নতুন বাস পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা চলছে। জানা যাচ্ছে, প্রমোদতরী ছাড়ার পর হোটেল বা নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিলাসবহুল ডাবল ডেকার চালানো হবে। এটি পিপিপি মডেল অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে চালানো হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে কবে এই পরিষেবা আরম্ভ হবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ ইতিমধ্যেই ট্রায়াল হিসাবে রাস্তায় নামিয়েছেন ডাবল ডেকার বাসটি। যদি ট্রায়াল সফল হয় তাহলেই আগামী দিনে সেটা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, বাংলায় নতুন লাইনে চলবে ট্রেন! সুখবর দিল পূর্ব রেল
দিঘা প্রেমীদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই একটি প্রমোদতরী সার্ভিস চালু হয়ে গিয়েছে। শঙ্করপুর মৎস বন্দরেরকাছেই নায়েকালী মন্দিরচত্বরে একটি নতুন জেটি বানানো হয়েছে। সেখান থেকেই ‘নিবেদিতা’ নামক প্রমোদতরীতে চাপা যায়। সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে এই সার্ভিস যেখানে AC প্রমোদতরীতে একটি অন্যরকম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন পর্যটকেরা।
প্রসঙ্গত, দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে নতুন রাস্তা , পার্ক থেকেই শুরু করে অনেকটাই উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তবে আগামী দিনে প্রমোদতরী সার্ভিস শুরু করা গেলে ভালো যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি ভ্রমণ ও বিনোদনের এক মিশ্র আনন্দ পাবেন পর্যটকেরা এমনটাই মনে করা হচ্ছে।