নিউজশর্ট ডেস্কঃ আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন ট্রেনে একবার না একবার ভ্রমণ নিশ্চয়ই করেছেন। দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রাপথে ট্রেন(Indian Railways) হল সবথেকে সহজলভ্য পরিবহন মাধ্যম। এর কারণ অনেকেই বিমানে ভাড়া বেশি থাকার জন্য ট্রেনে যেতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এই ট্রেনের আবার বেশ কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেমন লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন, সুপারফাস্ট ট্রেন এবং মেইল ট্রেন।
তবে আপনি যদি অল্প দূরত্বের রাস্তা ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে দেখবেন সেক্ষেত্রে ট্রেনের নামের সঙ্গে ইংরেজিতে ডেমু(DEMU), ইএমইউ(EMU) বা এমইএমইউ-এর মত শব্দ যুক্ত রয়েছে। তবে আপনি কি ভেবে দেখেছেন এই শব্দগুলোর আসল অর্থ কি? এমনকি কখন বা কোন ধরনের ট্রেনে এই শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়? আপনার যদি এই বিষয়টি অজানা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ে জেনে নিন।
প্রথমেই বলি ডেমু ট্রেনের কথা। DEMU-র পুরো কথা হল ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট। স্বল্প দূরত্বের জন্য ডিজেল চালিত ট্রেনগুলোকে ডেমু ট্রেন বলা হয়ে থাকে। এগুলোকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়, ডিজেল বৈদ্যুতিক ডেমু, ডিজেল হাইড্রোলিক ডেমু, ডিজেল মেকানিক্যাল ডেমু। এ ট্রেনগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রত্যেক তিনটি কোচের পরে একটি পাওয়ার কোচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জন্য ট্রেনগুলোকে শক্তি সাশ্রয় ট্রেনও বলা হয়।
আর MEMU শব্দটির পুরো অর্থ হলো মেইন লাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট। এগুলো উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ প্রযুক্তির সঙ্গে তৈরি করা হয়। এই ট্রেনগুলোতে সাধারণত ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভ্রমণ করা যায়। এখানে প্রত্যেক চারটি কোচের সাথে একটি করে পাওয়ার কার রয়েছে। এই ট্রেনে সাধারণত ৮ থেকে ১২ টি কোচ থাকে। এই কোচগুলোতে এয়ারকন্ডিশনিং, ওয়াশরুম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায়। এই ট্রেনগুলোর ভাড়াও তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
এরপর আসা যাক এমু ট্রেন নিয়ে। EMU কথাটির অর্থ হল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট ট্রেন। এই ট্রেনগুলো সাধারণত মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লির মতো বড় শহরগুলোতে চলে। এই ট্রেনগুলো বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে। এই ট্রেনের ঘন্টায় গতিবেগ থাকে ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার মত। এই ট্রেনের মধ্যে এক ধরনের প্যানটোগ্রাফ রয়েছে। যেগুলো ট্রেনের ইঞ্জিনের বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ করে থাকে। এই ট্রেনের মধ্যে ১২ থেকে ১৬ টি করে কোচ থাকে।