ভারতীয় মূদ্রা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়কে কন্ট্রোল করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আরবিআই। নোট, কয়েন ইত্যাদির নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য গুলি নিয়ন্ত্রণ করার সাথে গ্রাহকদের সুবিধা অসুবিধার কথাও ভেবে থাকে এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি। এই করাণেই নোটের উপর রাগ হয় বিভিন্ন ধরনের ফিচার্স।
এরকম নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা যায় ভারতীয় নোটে। যেগুলো নিয়ে আমরা সচরাচর মাথা ঘামাই না। তবে এর অন্তর্নিহিত অর্থ জানলে আপনিও অবাক হবেন। এরকমই একটি বৈশিষ্ট্য হল টাকার দু’প্রান্তে থাকা তেরছা দাগ।
আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে এই দাগ দেখা যায়। টাকার অঙ্ক কত তার উপর ভিত্তি করেই এই দাগের সংখ্যার হেরফের হয়। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তেরছা এই দাগ কেন থাকে টাকায়? এই দাগ কী নামে পরিচিত?
এখানে জানিয়ে রাখা দরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের সুবিধার্থে এই দাগ দিয়ে রাখে। এই তেরছা দাগকে ‘ব্লিড মার্কস’ বলে। আর এই দাগ রাখা হয় বিশেষ করে দৃষ্টিহীনদের জন্য। যাতে তারা টাকা ছুঁয়েই বুঝতে পারেন সেটা ১০০, ২০০, ৫০০ নাকি ২০০০ টাকার নোট।
প্রসঙ্গত, ১০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে ৪টি করে দাগ থাকে। ২০০ টাকার নোটেও দু’প্রান্তে ৪টি করে দাগ থাকে। তবে এক্ষেত্রে দাগের মাঝের ফাঁকা জায়গায় দু’টি করে ছোট বৃত্ত-ও থাকে। এদিকে ৫০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে ৫টি করে মোট ১০টি দাগ থাকে। এবং ২০০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে থাকে ৭ টি করে দাগ।