অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) অভিনীত অন্যতম কাল্ট ক্লাসিক হল সূর্যবংশম (Suryavamsam)। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি নিয়ে চর্চার শেষ নেই। সেই সময় ম্যাসিভ হিট হয়েছিল ছবিটি। এদিকে বক্স অফিস কালেকশনের কথা বললে, প্রায় ১২.৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছিল ছবিটি। দর্শকরাও সেট ম্যাক্সে বহুবার এই ছবিটি দেখেছেন।
ছবির প্রতিটি চরিত্রই যে আইকনিক ছিল তা বলাই বাহুল্য। তা হীরা ঠাকুর হোক বা বাবা ঠাকুর ভানু প্রতাপ। পাশাপাশি ছবির ছোট ভানু প্রতাপের কথাও মনে আছে নিশ্চয়! এই শিশুটির হাতেই বিষাক্ত পায়েস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অমিতাভ বচ্চন। সেই ছোট শিশুটিই আজ ২৩ বছরের যুবক।
‘সূর্যবংশম’ ছবিটি দেখতে দেখতে ছবির প্রতিটি চরিত্র মানুষের মনে বসে গিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো হীরার পুত্র ও ঠাকুর ভানু প্রতাপের একমাত্র নাতি। এই নাতিই ছবিতে এক নয়া মোড় নিয়ে এসেছিল। এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন, আনন্দ বর্ধন (Ananda Vardhan)। সেই ৪ বছরের আনন্দ বর্ধন আজ ২৭ বছরের যুবক।
প্রায় ২৩ বছর হয়ে গিয়েছে ‘সূর্যবংশম’ মুক্তি পেয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে বদলেছে অনেক কিছুই। বদলেছে আনন্দ বর্ধনও। যদিও দীর্ঘ ১২ বছর কোনো প্রোজেক্টে দেখা যায়নি তাকে। তবে এবার বোধহয় ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ করার সময় চলে এসেছে। যদিও তিনি বলিউডে নয়, কাজ করছেন তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে।
অভিনেতার কেরিয়ারের শুরুর কথা বললে, ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয়ারাগালু দিয়ে শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। এই ছবির জন্য 1997 সালে শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এছাড়া প্রায় ২০ টিরও বেশি ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বললে, সেখানেও বেশ ভালোই অ্যাক্টিভ থাকেন আনন্দ। প্রায়শই তার ছবি ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে সামাজিক মাধ্যমে। ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে আপাতত সবাই অপেক্ষা করে আছে, কবে তাকে বলিউডে দেখা যাবে?