do you what are the uses of cancelled notes of india by rbi

Moumita

বাতিল হওয়া ভারতীয় নোটগুলো কোথায় যায়, কোন কাজে লাগানো হয়? উত্তর জানলে অবাক হবেন

নোটবন্দির ঘটনা ভারতে নতুন নয়। ভারতে টাকা পয়সা(Indian Money) সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় দেখাশোনা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। কখন কোন টাকা বাতিল হবে, কখন কোন নোট বা কয়েনে কী পরিবর্তন হবে(Cancelled Indian Notes), এমনকি ভারতে নতুন নোট ছাপানো এবং সেগুলিকে চালানোর দায়িত্ব সবটাই থাকে দেশের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটির হাতে‌।

   

এর আগেও একাধিকবার নোট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে। তবে বিগত কয়েক বছরে বার দুই নোটবন্দির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এই নোটবন্দির ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরে আবারও ২০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নোটটি প্রথমবার তৈরি হয়েছিল ২০১৬ সালে।

দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারও বাতিল হল ২০০০ টাকার নোট। চলতি বছরেই আরবিআই (RBI)-এর তরফে সব ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে ২০০০ টাকার নোট দেওয়া বন্ধ করতে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই রয়েছে এই নোটের মেয়াদ‌। বাড়িতে ২০০০ টাকার কোন নোট থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বদলে ফেলা আবশ্যক।

এমতাবস্থায় মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই বিপুল পরিমাণ নোট বাতিল হওয়ার পর যায় কোথায়? বা কী কাজে লাগে এইসব বাতিল নোট? সেইসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের এই প্রতিবেদন। আসলে এই সমস্ত বাতিল নোটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় আরবিআই অফিসে। সেখানে এক মেশিনের মাধ্যমে এই নোটগুলো কুচিকুচি করে ফেলা হয়।

এরপর সেই টুকরোগুলো রিসাইকেল করে বই, খাতা ও ফাইল তৈরি করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারা দেশে আরবিআই-র মোট ১৯ টি অফিস রয়েছে‌। আর সেই অফিসে মোট ২৭টি নোট ক্লিপিং মেশিন রয়েছে। এই মেশিনগুলির দ্বারা বাতিল নোট টুকরো করা হয়। এছাড়া যে কার্ডবোর্ডগুলি বেশি শক্ত হয়ে যায় সেগুলি জ্বালানির কাজেও ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি সিমেন্ট তৈরির কাজে এবং সার হিসেবেও ব্যবহার হয় এই কার্ডবোর্ডগুলি‌।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নিয়মটি প্রথম চালু হয়েছিল ২০০০ সালে। আজ থেকে ২৩ বছর আগে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এই পদ্ধতি চালু করেছিল। তারপর থেকে এই নিয়মে কোন বদল আনা হয়নি। আজও সেই একই নিয়ম মেনে আমাদের দেশে বাতিল নোট করা হয়। আরবিআই এই বিশেষ নিয়মে বাতিল নোটকে নষ্ট করে অন্যান্য কাজে লাগায়।