কাউকে মন থেকে ভালো লেগে গেলে নিজের সে ভালোলাগার অনুভূতিকে উল্টোদিকের মানুষটিকে বোঝানো দরকার। নাহলে হয়তো অন্য কেউ এসে তাকে বুঝিয়ে নিজের করে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এমনও হয় যে ধরুন আপনি কাউকে আপনার মনের কথা জানানোর জন্য বার্তা পাঠালেন কিন্তু সে কোনোদিনই সেই বার্তা খুলে দেখল না। তাহলে কি আপনি হাল ছেড়ে দেবেন? হাল ছেড়ে দিলে কি আপনার সমস্যা মিটে যাবে?
এটা কিন্তু নয়, কোনো কাজেই অত সহজে হাল ছাড়া উচিত নয়। হয়তো এই হাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে কখনো আফসোস করতে হতে পারে আবার জোর করে পেছনে লেগে থাকার জন্যই হয়তো ভবিষ্যতে আপনারা দুজন একসাথে এগিয়ে চলতে পারবেন। যেমন কথায় বলে, ‘মেড ফর ইচ আদার।’ এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে।
একজন আরেকজনের মেসেজ খুলেও দেখেনি। কিন্তু এক যুগ পর তারাই এখন দম্পতি। একজন হলেন রঞ্জুশ্রী মণ্ডল (ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী), যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি গাঁটছড়া বেঁধেছেন তারই পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে তাঁরই সিনিয়র সতীর্থ চিকিৎসক অমিত হালদারের সঙ্গে। গত ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই জুটি। বৃহস্পতিবার রঞ্জুশ্রী তাদের এই বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আর যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মুহূর্তেই। কি সেই পোস্ট?
তাহলে গল্পটা বলছি। ২০১৯ সালে অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্রী রঞ্জুশ্রীর সঙ্গে আলাপ হয় তারই সিনিয়র অমিত হালদারের। এই অমিতকে পছন্দ করলেও কোনোদিন বলেননি রঞ্জুশ্রী। এরপর হঠাৎ একদিন ফেসবুকে অমিতকে অনলাইন দেখে মেসেজ করতে গিয়ে রঞ্জুশ্রী মেসেঞ্জার খুলে একেবারে অবাক হয়ে যান। ২০১১ সালে তাঁকে মেসেজ করেছিলেন অমিত, কিন্তু সেই মেসেজ খুলেও দেখেননি রঞ্জুশ্রী। এরপরেই শুরু হয় তাদের কথোপকথন।
মেসেঞ্জারের ওই স্ক্রিনশট পোস্ট করে রঞ্জুশ্রী লিখেছেন, এরপরেই ধীরে ধীরে সম্পর্ক হয়েছে। চার হাত এক হয়েছে। আর জুনিয়রদের তিনি বার্তা দিয়েছেন। সো গাইজ, নেভার লুজ হোপ। অর্থাৎ, হাল ছেড়ো না। হয়তো এই হাল না ছাড়ার জন্যই একদিন দুজনেই সুখী দম্পতি হয়ে যাবেন।