পার্থ মান্নাঃ দুর্গাপুজো শেষ হতেই কালীপুজো, তবে এতেই বাঙালির উৎসবের মরশুম শেষ নয়। সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো, আর জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর ঠাকুর দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শনার্থীরা। যার জেরে ব্যাপক ভিড় হয়ে যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর কটা দিন। আপনিও কি এবছর চন্দননগর প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যান বানিয়েছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য।
জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে স্পেশাল ট্রেন
সাধারণ মানুষ থেকে মধ্যবিত্তদের সবচেয়ে সহজ যাতায়াতের মাধ্যম মানেই হল ট্রেন। যে কারণে উৎসবের মরশুমে অনেক সময় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়ে থাকে। যেমনটা দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোয় ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও তার ব্যতিক্রম হল না। সম্প্রতি হাওড়া-বর্ধমান ডিভিশনে স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ট্রেনের টাইম টেবিল।
জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে ৬ জোড়া নতুন ট্রেন
জগদ্ধাত্রী পুজোর দুর্দান্ত প্যান্ডেল আর লাইটিং এর জন্য বিখ্যাত চন্দননগর। বহুদূর থেকে এই কদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান ঠাকুর দেখার জন্য। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাই যাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য হাওড়া বান্ডেল লাইনে প্রতিদিন ৫ জোড়া স্পেশাল ট্রেন ও হাওড়া বর্ধমান লাইনে ১টি স্পেশাল ট্রেন চালু করা হল পূর্ব রেলের তরফ থেকে।
স্পেশাল ট্রেনের টাইম টেবিল
যেমনটা জানা যাচ্ছে আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ৮ই নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ভিড় সামলাতে স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে হাওড়া বান্ডেল লাইনের ট্রেনগুলির টাইমটেবিল হল নিম্নরুপঃ
হাওড়া থেকে বান্ডেল : বিকেল ৫টা বেজে ২০ মিনিট
হাওড়া থেকে বান্ডেল : সন্ধ্যে ৭টা বেজে ৫৫ মিনিট
হাওড়া থেকে বান্ডেল : রাত্রি ৮টা বেজে ৩৫ মিনিট
হাওড়া থেকে বান্ডেল : রাত্রি ১১টা বেজে ৩০ মিনিট
হাওড়া থেকে বান্ডেল : রাত্রি ১২টা বেজে ৩০ মিনিট
হাওড়া থেকে বর্ধমান : রাত্রি ১টা বেজে ৩৫ মিনিট
পুজোর কদিন এই ট্রেনগুলি চালানো হবে। তবে ১২ তারিখ অর্থাৎ বিসর্জনের দিনেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা হয়। কারণ এদিনে একেরপর এক চন্দননগরের ঠাকুরগুলি পসেশনের মাধ্যমে বিসর্জন হতে যায়। তাই বিসর্জনের দিনেও একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে বলে আগাম জানানো হয়েছে।