নিউজ শর্ট ডেস্ক: এই চাঁদি ফাটা গরমে ঘেমে নেয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজ্যবাসীর। বাইরের রোদে ১০-১৫ মিনিটের বেশি দাঁড়ালেই মাথা ঘুরে যেতে পারে এমনকি হতে পারে সান স্ট্রোক-ও। তাই এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা একদিকে যেমন সবাইকে বারবার সতর্ক করছেন। অন্যদিকে তেমনি বাড়িতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছেন।
ঘরের মেঝে থেকে বিছানা সবই যেন আগুন। তাই এই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে শেষমেষ অনেকেই বাড়িতে এনেছেন এসি (AC)। এসি ছাড়া এই গরম থেকে নিস্তার পাওয়ার আর উপায় নেই বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু যদি কিছু ঘরোয়া উপায়ে ঘর ঠান্ডা করা যায়? তাহলে আর চিন্তা নেই।
এমন কিছু সহজ পদ্ধতি (Easy Tips) আছে, যা মেনে চললে এই ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও ঘর থাকবে ঠান্ডা। সবথেকে মজার বিষয় হলো আগেকার দিনে যখন এসি ছিল না তখন মানুষ কিন্তু এই সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেই ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতেন। আসুন তাহলে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক কি সেই পদ্ধতি?
আসলে অনেকেই ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়ির ছাদেই ছাদ বাগান তৈরি করে থাকেন। তাই যদি বাড়ির ছাদে যত সম্ভব টব ভর্তি গাছে ভরিয়ে ফেলা যায় তাহলে কিন্তু সেই ছাদের নিচের ঘর অনেক বেশি ঠান্ডা থাকবে।এছাড়াও রিফ্লেক্ট প্রুফ সারফেস করে রাখলেও অনেক সময় তাপমাত্রা কম থাকে।
আরও পড়ুন: শুধু খাবার কিনে টাকা খরচ নয়, এবার টাকা কামানোর সুযোগ দিচ্ছে Swiggy
আসলে এই ধরনের সারফেস করা থাকলে সূর্যের প্রচন্ড রোদেও গরম হবে না ঘর। কারণ এক্ষেত্রে ছাদের ফ্লোর সূর্যের তাপমাত্রা ফিরিয়ে দেয। এছাড়া কোন রং কিংবা কেমিক্যালের প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে। এই কারণে অনেকেই কলিচুন আর সিমেন্ট একসাথে মিশিয়ে ছাদে প্রলেপ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও অনেকে আবার ছাদে জল জমিয়ে তার মধ্যে খড় ভিজিয়ে রাখেন। এভাবেও প্রচন্ড গরমের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে। আর ছাদের নিচে থাকা ঘরগুলিও থাকবে একেবারে ঠান্ডা-ঠান্ডা কুল কুল। তবে এখনকার দিনে অধিকাংশ বাড়িতেই দেখা যায় ছাদের ওপরে শেড লাগাতে।
এরফলে একদিকে যেমন বর্ষাকালে বৃষ্টি থেকে কিংবা প্রচন্ড রোদের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তেমনি এই শেড লাগানো হলে ছাদ অনেক কম গরম হয়। তবে এক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে যে ছাদ থেকে আকাশ দেখা যায় না। এছাড়া ছাদের উপরে সোলার প্যানেল ব্যবহার করলে সূর্যের আলোর প্রকৃত ব্যবহার হয় পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচও কমে।