নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে বাড়ি কেনার সময় হোম লোন এবং গাড়ি কেনার লোন নেওয়ার বিষয়টা একেবারেই জলভাতে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্যও অনেকে ব্যক্তিগত লোন নিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে যখনই কেউ কোনও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে থাকেন তখনই তাঁকে একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইএমআই শোধ করতে হয়। এই নিয়ম না মানলেই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জরিমানা আরোপ করা হয়। এক্ষেত্রেও অনেক সময় EMI পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যায়।
তবে কেউ যদি কখনও এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন যেখানে বাধ্য হয়েই তাঁকে EMI বাউন্স করতে হচ্ছে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ৪টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যার ফলে CIBIL স্কোরের ওপরেও কোনো প্রভাব পড়ে না, এমকি এর জন্য ভবিষ্যতেও কোনো সমস্যা হয় না।
ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে দেখা করুন-
এই বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এ কে মিশ্র বলেছেন যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে হঠাৎ করে কোনো অসুবিধা বা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইএমআই বাউন্স হয়ে যায়, তাহলে প্রথমে ব্যাঙ্কের যে শাখা থেকে লোন নেওয়া হয়েছে সেখানে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে প্রথমে এই বিষয়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে হবে। নিজের সমস্যা বিস্তারিত জানানোর পর আশ্বস্ত করতে হবে যে ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না। যদি আপনার সমস্যা সত্যিই বৈধ হয় তাহলে সহজেই তা সমাধান করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের তরফে জরিমানা জারি করা হলে তা এতটাও বেশি হবে না যে কেউ তা দিতে পারবেন না।
CIBIL স্কোর সম্পর্কে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন-
কেউ যদি টানা তিন মাস EMI বাউন্স করেন, তাহলে CIBIL স্কোরের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। যদি তিন মাসের জন্য EMI বাউন্স হয় তাহলে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার CIBIL স্কোরের জন্য রিপোর্ট পাঠান। কিন্তু যদি কারও তার কম অর্থাৎ একটি বা দুটি কিস্তি বাউন্স হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সাথে কথা বলে সেই EMI শোধ করার পাশপাশি, CIBIL-এ নেতিবাচক রিপোর্ট না পাঠানোর জন্য ম্যানেজারের কাছে অনুরোধ করতে হবে। এছাড়াও, তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে ভবিষ্যতে এমনটা ঘটবে না। এখানে বলে রাখি CIBIL স্কোর খারাপ হলে, পরের বার লোন নিতে অসুবিধা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট এখনো আছে? ফেলে না দিয়ে RBI কি বলছে জেনে নিন
ইএমআই রাখার আবেদন-
যদি আপনার সমস্যা আরও বড় হয় এবং আপনি মনে করেন যে আপনি কিছু সময়ের জন্য কিস্তি পরিশোধ করতে অক্ষম, তাহলে আপনি আপনার বাধ্যতামূলক বিষয়টি ম্যানেজারকে জানিয়ে কিছু সময়ের জন্য কিস্তি আটকে রাখার জন্য আবেদন করতে পারেন। কিছু সময় পরে, যখন টাকা ব্যবস্থা করা হয়, আপনি পরিমাণ পরিশোধ করতে পারেন। এটি আপনাকে কঠিন সময়ে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
বকেয়া ইএমআই বিকল্প-
যদি কারও বেতন দেরিতে আসে কিংবা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে EMI-এর টাকার ব্যবস্থা না হয়, আর এই কারণে যদি EMI বাউন্স হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বকেয়া EMI এর জন্য ম্যানেজারের সাথে কথা বলা যেতে পারে। এখানে বলে রাখি ঋণের কিস্তির তারিখ সাধারণত মাসের শুরুতে হয়, একে অগ্রিম ইএমআই বলা হয়। বেশিরভাগ ঋণ গ্রহীতাদেরই অগ্রিম ইএমআইয়ের বিকল্প দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ চাইলে বকেয়া ইএমআই-এর বিকল্পও নিতে পারেন। এরফলে মাসের শেষে EMI শোধ করা যায়।