ছোট থেকে বড় হতে গিয়ে অনেক কিছুই দেখেছি আমরা। দেখেছি বহু পরিবর্তন (Changes)। একটা সময় মাত্র ১০ পয়সা দিয়েও অনেক কিছুই কেনা যেত। কিন্তু বর্তমানে ১০ টাকাও যেন মূল্যহীন। ঠিক তেমনই এক টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকার পর্যন্ত নোট দেখেছি আমরা।
যদিও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে হাজার টাকার নোট। এসেছে আমূল পরিবর্তন। বাজারে এখনও ২০০০ টাকার নোট চালু থাকলেও বন্ধ হয়ে গেছে ১০০০ টাকার নোট। তবে শোনা যায়, একবার নাকি ১০,০০০ টাকার একটি নোট ছাপানো হয়েছিল। যদিও খুব বেশিদিন বাজারে ঘোরাফেরা করেনি সেই নোট।
তবে আপনি কি জানেন একটা সময় ছাপানো হয়েছিল শূন্য টাকার নোট? শুনতে অবাক লাগছে তাই তো? কিন্তু একথা একেবারেই সত্যি। তবে কেন এই নোট ছাপানো হয়েছিল বা কি কাজে ব্যবহার করা হতো এই নোট সে বিষয়ে আপনাদের আজ সম্পূর্ণ তথ্য দেব এই বিশেষ প্রতিবেদনে।
শোনা যায়, দুর্নীতি বন্ধ করতেই নাকি এই শূন্য টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। একটা সময় দুর্নীতির যে সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। যত্রতত্র ছড়িয়েছিল তার শিকড়। প্রায় সব স্তরের মানুষই জড়িয়ে পড়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে। ঘুষ নিতে দ্বিধাবোধ করত না কেউই। আর এই দুর্নীতি বন্ধ করতে ছাপানো হয়েছিল শূন্য টাকার নোট।
তবে জানা যায় এই নোটটি রিজার্ভ ব্যাংক নয় বরং এনজিও সংস্থা ছাপিয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রকাশ্যে আসে এই নোট। হিন্দি, তেলেগু কন্নড় এবং মালায়ালাম এই চারটি ভাষায় ছাপানো হয়েছিল নোট। তাতে লেখা ছিল, ‘ঘুষ নেব না, ঘুষ দেব না’।
বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর। সর্বত্রই সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নোট। এই নোটের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল একটি পুস্তক। জনগণের উদ্দেশ্যে প্রচার চালানো হয়েছিল, কেউ যদি ঘুষ চায় তাহলে যেন তার হাতে তুলে দেওয়া হয় এই বিশেষ নোট। মানুষকে সচেতন করতে চালানো হয় প্রচারও। নোটের মধ্যে ছাপিয়ে দেওয়া হয় সংস্থার ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর। দুর্নীতি রুখতে নোটেই লেখা হয়েছিল নানান স্লোগান।