পার্থ মান্নাঃ অক্টোবর থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গোটা দেশ জুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপূজা থেকে শুরু হয়ে লক্ষীপূজা, কালীপূজা, ভাইফোঁটার পর রাত পোহালেই ছট পূজা। এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাড়ি ফেরেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিশেষ করে বিহার ও ঝাড়খন্ড জেলায় ব্যাপকভাবে পালিত হয় ছট পুজো। আর মধ্যবিত্ত থেকে সাধারণ মানুষের সস্তা ও সহজ যাতায়াতের মাধ্যম ভারতীয় রেলের উপর এই সময় থাকে মারাত্বক চাপ। বছরের এই সময়টাই যত বেশিই ট্রেন দেওয়া হোক না কেন কম পরে যায় ভিড়ের তুলনায়। যার জেরে টিকিট পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। তাই উৎসবের কথা ভেবে আরও একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রেলের তরফ থেকে।
ছট পুজো উপলক্ষে হাওড়া-শিয়ালদহ থেকেই স্পেশাল ট্রেন
ছট পুজো উপলক্ষে রেলের যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাছাড়া শীতের সময় অনেকেই ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন যার জেরে পর্যটকদের চাপও থাকে। টিয়া দুইয়ে মিলে টিকিটের জন্য যাতে ভুগতে না হয় তাই হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা থেকে একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর ঘোষণা করা হল রেলের পক্ষ থেকে।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকেই হাওড়া, কলকাতা ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেগুলো আগামী ১১, ১৮ ও ২৫ শে নভেম্বর ছাড়বে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে পুরী যাওয়ার জন্য একাধিক ট্রেন চালু করা হয়েছে যার তালিকা নিচে দেওয়া হল :
উত্তরবঙ্গ যাওয়ার স্পেশাল ট্রেনের তালিকাঃ
নভেম্বর মাসে যদি পাহাড়ে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে আর এখনও টিকিট কেটে না থাকেন বা না পেয়ে থাকেন তাহলে সুখবর। একঝাঁক ট্রেন চালু করা হয়েছে সেগুলি হল :
- ৬ই নভেম্বর – হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি স্পেশাল
- ৭ই নভেম্বর – হাওড়া-জম্মু তাওয়ায় স্পেশাল এক্সপ্রেস
- ১০, ১৭ ও ২৪ শে নভেম্বর হাওড়া-পাটনা স্পেশাল এক্সপ্রেস। এটি সিসেম্বরেও ১৫, ২২ ও ২৯ তারিখে চলবে।
দেশ জুড়ে আরও স্পেশাল ট্রেন
যদি কেউ সমুদ্র ভালোবাসেন তাহলে পুরী যাওয়ার জন্যও একাধিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ শে নভেম্বর কলকাতা-পুরী স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। এদিকে কলকাতা-পাটনার মধ্যে ৫, ১২, ২২ ও ২৯শে নভেম্বর স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।
এছাড়া ৯, ১১, ১৮, ২৩, ২৫ ও ৩০শে নভেম্বর শিয়ালদহ-গোরক্ষপুরে স্পেশাল ট্রেন চলবে। আর শিয়ালদহ-ভাদোদরা স্পেশাল চালানো হবে ৫, ১২, ১৯ ও ২৬ নভেম্বর। তাই যারা টিকিট কাটা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তাদের চিন্তা একপ্রকার দূর হয়ে গেল বলা যেতে পারে।