পার্থ মান্নাঃ হাতে যদি থাকে একটা মাত্র ছুটির দিন তাহলে কলকাতাতেই দেখার মত অনেক কিছু আছে। তবে এবার কলকাতার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে যুক্ত হল আরও একটি জায়গা। যদিও একেবারে নতুন নয়, একটা চেনা জায়গাতেই তৈরী হয়েছে নতুন ভ্রমণ আকর্ষণ। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন নিউটাউনের ইকো পার্কের কথাই বলছি। এমনিতেই ঘোরার জায়গা হিসাবে ইকো পার্ক বেশ বিখ্যাত। সেভেন ওয়ান্ডার্স থেকে জাপানিজ গার্ডেন কি না নেই সেখানে। তবে এবার তালিকায় জুড়ছে ‘সোলার ডোম’।
কলকাতার ইকো পার্কে নতুন আকর্ষণ ‘সোলার ডোম’
বিগত কিছুদিনের মধ্যে যারা ইকো পার্ক ঘুরতে গিয়েছেন তাদের নজরে একটা বিশাল গম্বুজাকৃতি বিল্ডিং নিশ্চই পড়েছে। চারিদিকে জল দিয়ে ঘেরা আর মাঝে একটা বিশাল গম্বুজ। যেটার চারিদিকেই রয়েছে সোলার প্যানেল। এবার সেটারই নামকরণ করা হল ‘সোলার ডোম’। সকলের মনেই প্রশ্ন বিশাল এই বিল্ডিংয়ের ভিতরে কি রয়েছে? তবে আর অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ এবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সোলার ডোমের গেট।
যেমনটা জানা যাচ্ছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, হিডকো ও নগরোন্নয়ন দফতরের মিলিত সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের একটি নামি কোম্পানির দ্বারা তৈরী করা হয়েছে এই সৌর গম্বুজ। যেখানে ২০০০ সোলার প্যানেল লাগানো রয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ১৮০ কিলোওয়াট মত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। ২০১৯ সালে প্রথম এটি তৈরির কাজ শুরু হয়। লোহার কাঠামোর উপর কাঁচ ও সোলার প্যানেল লাগিয়েই এই বিশাল আকার গম্বুজটি তৈরী করা হয়েছে।
সোলার ডোমের ভিতরে কি আছে?
আজ অর্থাৎ ৫ই নভেম্বর মঙ্গলবারই কলকাতার মেয়র তথা হিডকো চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ‘সোলার ডোম’টির উদ্বোধন করলেন। চারিদিকে লাগানো সোলার প্যানেলের দ্বারাই সেখানে আলো, পাখা থেকে শুরু করে লিফ্ট ও কম্পিউটার চালানো যাবে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত বিকল্প শক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে আরও সচেতন করতে ও উৎসাহ দিতেই এই সোলার ডোম তৈরী করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে সোলার ডোমের ভিতরেই থাকছে গ্যালারি, সেমিনার হল থেকে প্লানেটরিয়াম, ৩৬০ ভিউ পয়েন্ট থেকে মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম।