নিউজশর্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এবার নতুন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যদি ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের দরকার হয়। তাহলে তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আর এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তবে মনে রাখবেন এই সুবিধা সকলের জন্য নয়। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরাই(Central Goveernment Employees) এই সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য হেলথ কমিশনের মধ্যেই এই বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোন চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কমিটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জমা পরার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বিগত দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা দাবি জানিয়েছিল যে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অর্থ বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ টাকা করা হোক এবং হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের জন্য বরাদ্দ অর্থ বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকা করা হোক। এর পাশাপাশি যদি কোন কেন্দ্র সরকারি কর্মী বা অবসরপ্রাপ্তকর্মীর দুটোই একসঙ্গে প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি করেছিল কর্মচারী সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন: Investment: শুধু ব্যাঙ্কে নয়, বিনিয়োগ করুন এই ৪ জায়গায়, মাসের রোজগার গুনে শেষ হবে না
আর দীর্ঘদিন ধরে এই দাবির পর অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। এরপরই সিজিএইচএস-এর ডিরেক্টরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে আর্থিক বরাদ্দের এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এবং এরপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সরকারের তরফ থেকে ১১.৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় এবং হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ৭.৯.০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় অর্থাৎ দুটো ক্ষেত্রে মোট ১৮ লক্ষ টাকা সরকারের তরফ থেকে প্রদান করা হয়। তবে বর্তমানে যে হারে চিকিৎসার খরচ বাড়ছে সেখানে এই টাকাতে এই জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয় না। বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালে খরচ আরো বেশি হওয়ার জন্য কর্মচারী সংগঠনগুলোর তরফ থেকে এই আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে মোট ৩৫ লক্ষ টাকার করার দাবি জানানো হয়েছিল।