নিউজ শর্ট ডেস্ক: ঝটিতি সফরে বাঙালি বরাবরই ভরসা রাখে দীঘা (Digha)-পুরী-দার্জিলিং-এর ওপর। বিশেষ করে কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থি সৈকত শহর দীঘা আমাদের সকলেরই অন্যতম পছন্দের একটি জায়গা। তাই বছরে যতবারই যেখানে খুশি মানুষ ঘুরতে যাক না কেন দীঘা না গেলেই নয়। কেউ তো এমনও আছেন যারা বছরে ৪ থেকে ৫ বার দীঘা ঘুরে আসেন।
বাড়তে থাকা পর্যটকদের কথা ভেবেই জোর কদমে চলছে দীঘায়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে দীঘার মন্দির নির্মাণের কাজ। এছাড়াও চিড়িয়াখানা সহ চলছে আরও একাধিক প্রজেক্ট-এর কাজ। এসবের মধ্যেই সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে চমকে দিয়ে জানিয়েছেন তাজপুরে (Tajpur) একটি গভীর সমুদ্র বন্দর (Port) তৈরি হবে।
তার জন্য কথাবার্তা চলছে ভারতের বিখ্যাত ব্যবসায়ী গৌতম আদানির (Goutam Adani) সঙ্গে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি শুনে কার্যত বিদ্রুপের সুরেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী শিবিরের তরফে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন ‘আদানিরা তাজপুরে বন্দর তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন না কোনদিনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা ভালো করেই জানতেন।’ কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে সমুদ্র বন্দরটি আসলে তৈরি হচ্ছে কোথায়?
জানা যাচ্ছে মন্দারমনি (Mondarmoni) সংলগ্ন রামনগর -২ ব্লকে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের হাতে থাকা জমিতেই হতে পারে প্রস্তাবিত বন্দর।জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের একটি দল সেই অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন।মন্দারমনি সংলগ্ন এই রামনগর-২ ব্লকে রাজ্য থাকা প্রায় ১৭০০ একর জমি রাজ্য সরকার শিল্পোন্নয়ন নিগমকে চুক্তি মারফত তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে যাবেন, কিন্তু বাজেট কম? নো টেনশন, মাত্র ১৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি গ্রাম
মন্দারমনি সংলগ্ন দাদনপাত্র বাড়, দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর এবং মানিয়ার মতো যে জায়গাগুলো খালি পড়ে আছে সেগুলোই এবার কাজে লাগাতে চাইছেন প্রশাসন। অন্যদিকে বন্দর তৈরীর বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা করে বিরোধী শিবির বিজেপির দাবি আদানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মমতা সরকার এই আবহে গোপনে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা চলছে বলে দাবি তাদের।