নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাজ্যের গরীবা মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড(Swasthya Sathi Card) শুরু করেছিল রাজ্য সরকার(Government)। আর এবার আরো বড়োসড়ো চমক নিয়ে রাজ্য সরকার নিয়ে এসেছে বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেকটি পরিবার সরকারের অর্থের মাধ্যমে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ পেয়ে থাকে। এই টাকা শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে খরচ করলেই মিলবে এমন নয়।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো যাবে। যার ফলে গরীব পরিবারগুলোর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা এখন অনেকটাই মিটেছে। এবার এই বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। যে শ্রমিকরা রাজ্যের বাইরে ভিন্ন রাজ্যে এই কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। শিলিগুড়িতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম দিকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এই কার্ডের পরিষেবা চালু হয়েছিল। কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে ২০২১ সালের পর থেকে বাংলা প্রত্যেকটি পরিবারের জন্যই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার থেকে বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের বাইরে যে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে এই সুযোগ বাংলার প্রত্যেকটি মানুষের জন্য নয়। যারা পরিযায়ী শ্রমিক তাদের জন্য এই সুযোগ আনা হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন্ন রাজ্যে কাজ করে থাকেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে অনেক সময় অর্থের অভাবে তাদের চিকিৎসা হয় না। আর এবার তাদের কথা ভেবেই দেশের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো হাসপাতালে এই বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়ে যাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এই ঘোষণার পর থেকেই বাংলার প্রায় ২২ লক্ষ পরিবার শ্রমিককে বিশেষ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। বাকিদেরকে এই কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই কার্ডের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্যে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বীমার অর্থের বদলে সরাসরি সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসায় যে খরচ হবে সেই অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।