নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার জন্য আবার কোন মাস লাগে নাকি? তাই ঘরেতে মন না বসলেই ব্যাগ গুছিয়ে পাহাড়ের শান্ত নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে ছুটে চলে যান সকলে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে উত্তরবঙ্গ (North Bengal) মানেই ভ্রমণ পিপাসুদের বিশেষ করে পাহাড় প্রেমীদের কাছে স্বর্গের অপর নাম। উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান মনোরম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।
ইদানিং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এমনই একটি পর্যটন স্থল হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা (Gajoldoba)। কিন্তু এই গজলডোবা যাওয়ার রাস্তা মোটেই সহজ নয়। অনেক কাল ঘাম ছুটিয়ে মাইলের পর মাইল রাস্তা পেরিয়ে তবেই পৌঁছাতে হয় এই মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জায়গাটিতে। কিন্তু এবার পাহাড় প্রেমীদের সেই কষ্ট দূর হতে চলেছে।
কারণ এবার থেকে শিলিগুড়ি থেকে এই গজলডোবা যাওয়ার জন্য অকারণ হয়রানির দিন শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি এই গজলডোবা যাওয়ার রাস্তা নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার ফলে আগামীদিনে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করা আরও সহজ এবং আরামদায়ক হতে চলেছে পর্যটকদের জন্য।
এবার একসঙ্গে জুড়তে চলেছে ডুয়ার্স থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি এবং গজলডোবা। তাই কলকাতা থেকে এবার চাইলেই ছুটির দিনে যে কেউ নিজের চার চাকা কিংবা দু’চাকা নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন উত্তরবঙ্গ। আসলে খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই গাজলডোবার ‘মেগা ট্যুরিজম হাব’ তৈরী করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অনেকটাই ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কম পুঁজিতেই বিরাট লাভ! ছোট্ট এই ব্যবসাতেই ফুলে ফেঁপে উঠবে লক্ষ্মী ভান্ডার
‘ভোরের আলো’ কটেজ, যুব কল্যাণ দপ্তরের আবাসন, পর্যটকদের নানা ধরনের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ওই সময়েই পর্যটকদের ভ্রমণের পথ আরো বেশি সুগম করে তুলতে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গজলডোবা অবধি রাস্তার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই রাস্তার জট কাটতে চলেছে খুব শিগগিরই।
জানা যাচ্ছে প্রায় দেড় বছরের ধরে বন্ধ সেতু দু’টির সংস্কারের জন্য এবার দরপত্র বা টেন্ডার চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই সেতু দুটির সংস্কারের কাজ শেষ হলে, নতুন উড়ালপুলটির কাজও শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর নানান প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং টানাটানির পরে সম্প্রতি প্রায় ১৪ কোটি টাকার টেন্ডার করেছে পূর্ত দফতর। মনে করা হচ্ছে এ মাসের শেষে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আগামী মাসেই অর্থাৎ মার্চ থেকে কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্য কোনটি? দিল্লি-মুম্বাই কোনোটাই নয়, নাম শুনলে চমকে যাবেন
তবে এতদিন ধরে সেতু বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী থেকে পর্যটকদের প্রায় ১১ কিলোমিটার ঘুরপথে গজলডোবা যেতে হচ্ছে। সেখান থেকে ডুয়ার্সে যেতে সময় লাগছে আরও বেশি। ঘুরপথের প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তাই ভোরে গিয়েছে খানাখন্দে। সেটির কাজ শুরু হলেও ধূলো এবং গর্তের জন্য নিয়মিত গাড়ি, ট্রাক খারাপ হচ্ছে। এতে সকলের মধ্যেই তৈরী হয়েছে ক্ষোভ।