ভারতের একটি বিশাল জনসংখ্যা এখনও রয়েছে দারিদ্র্যসীমার নীচে। এই সব মানুষের কাছে দুবেলা রুটি জোগাড় করাও রীতিমত কঠিন কাজ। এইসব মানুষদের জন্যই রেশন কার্ডের সাহায্যে, ভারত সরকার দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের সস্তা দামে রেশন সরবরাহ করে, যাতে কোনও ব্যক্তি অনাহারের শিকার না হয়।
কিন্তু গত 2 বছর ধরে, করোনা মহামারীর কারণে, সরকার রেশন কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া স্বল্পমূল্যের রেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করেছে, যার কারণে কিছু অযোগ্য ব্যক্তি এবং পরিবারও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই কারচুপি বন্ধ করতে সরকার কর্তৃক নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে, যা লঙ্ঘন করলে রেশন কার্ড বাতিল করা হতে পারে।
নতুন নিয়ম কি?
সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বা তার পরিবারের আয় নির্ধারিত সীমার বেশি হলে তিনি সস্তায় রেশন পাবেননা। এমতাবস্থায়, যদি কোনও রেশন কার্ডধারীর নিজের আয় থেকে কেনা 100 বর্গ মিটারের একটি প্লট, ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকে, তবে সেই ব্যক্তি বা তার পরিবারকে গরীব বা দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী লোকদের তালিকায় গণনা করা হবে না। এই শ্রেণীর মানুষ বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাবেনা।
এ ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির একটি চার চাকার গাড়ি, একটি অস্ত্রের লাইসেন্স, গ্রামে দুই লাখ টাকার বেশি এবং শহরে তিন লাখ টাকার বেশি বার্ষিক পারিবারিক আয় থাকে, তাহলে এই ধরনের ব্যক্তিরা কম টাকায় অথবা বিনামূল্যের রেশন পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন না।
সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার রেশন কার্ডের অপব্যবহার করে বিনামূল্যে বা সস্তা রেশনের সুবিধা নিচ্ছেন এমন অযোগ্য লোকদের উপর ফাঁস শক্ত করতে শুরু করে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের এই প্রচেষ্টা দেখে সরকারও খুব শীঘ্রই নতুন নিয়ম চালু করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে।
এমতাবস্থায় যদি কোনও ব্যক্তি ভুল তথ্য দিয়ে তৈরি করা রেশন কার্ড তৈরি করে তার অপব্যবহার করছে, তবে যে কোনও ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার থেকে যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযোগটি সত্য বলে প্রমাণিত হলে, ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এর পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তির রেশন কার্ডও পাকাপাকিভাবে বাতিল করা হতে পারে।