পার্থ মান্নাঃ আবেদন করল একজন টাকা পেল আরেকজন! হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে এভাবেই চলছে নয়ছয়। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টে ওঠা এক মামলায় একথা স্বীকারও করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এরপর কি নির্দেশ দিলেন বিচারপতি? জানতে হল আজ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নয়ছয়
আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আজ প্রথম নয়। কখনো প্রভাবশালীদের পরিচিতদের তালিকায় নাম আসা তো কখনো আবার নাম এলেও টাকা না পাওয়ার মত অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। তবে এবার টাকা না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ক্যানিংয়ের এক বাসিন্দা। তাতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের হেড়োভাঙা গ্রামের ৫ জন। এরপর লিস্টে নাম আসে, টাকাও পাঠানো হয় কিন্তু সেটা তাদের অ্যাকাউন্টে নয় বরং অন্যত্র। অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবেই নাকি এই টাকা অন্যদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ একসাথে ৫ জনের টাকাই কিভাবে অনত্র চলে যায়! পরবর্তীকালে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় মামলাকারীদের অভিযোগ সত্য। ফলে ভুল করে পাঠানো টাকা ইতিমধ্যেই উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
বিস্ময়প্রকাশ হাইকোর্টের বিচারপতির
গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি রবি কিষান কপূরের কাছে শুনানির জন্য উঠেছিল এই মামলা। যেখানে সবটা জানার পর বিচারপতি নিজেও বেশ বিস্মিত। উক্ত এলাকার আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। এদিন বিচারপতি জানান, ওই এলাকার বিডিও থেকে পঞ্চায়েত প্রধান সকলকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর যারা তহবিলের সাহতে যুক্ত ছিলেন তাদের আদালতকে লিখিত তথ্য দিতে হবে। এছাড়া সরকারি টাকা তছনছের জন্য দ্রুত ফৌজদারি মামলা করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিচারপতি আরও বলেন, টাকা নয়ছয় হচ্ছে জেনেও কেন ফৌজদারি মামলা করা হয়নি? তাছাড়া এক দুজনের ক্ষেত্রে ভুল হওয়া সম্ভব ৫ জনের কেত্রেই ভুল কি করে সম্ভব? এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক যে রাজ্য সব জেনেও ফৌজদারি মামলা করেনি।