নিউজশর্ট ডেস্কঃ রামকৃষ্ণ বলে গিয়েছিলেন ‘টাকা মাটি মাটি টাকা…’, ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে একথা একেবারে সত্যি প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কারণ বর্তমানে জমির যা আকাশ ছোঁয়া দাম তাতে একটা নিজের জায়গা কিনতে পারলে স্বপ্নপূরণ হয়ে যায়। কিন্তু জমি কেনাবেচার (Land Buy Sell) ক্ষেত্রে বহুক্ষেত্রেই ঠকদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন ক্রেতারা। যার ফলে কখনো কম জমির দাম (Land Valuation) অনেক বেশি দিয়ে ফেলেন কিংবা হয়তো ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। তবে এবার সেসব আর সম্ভব নয়, কারণ জমি কেনাবেচার সময় যাতে কাউকে ঠকতে না হয় তার জন্য নতুন ব্যবস্থা আনছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)।
বদলে যাচ্ছে জমি বাড়ির সরকারি ভ্যালুয়েশন
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে নতুন জমির ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন (Dynamic Valuation of Land) চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন যেমন হবে তেমনি বাড়বে সেখানে জমি ও বাড়ির দাম। আর সেই দাম দেখা যাবে মোবাইল থেকেই। হ্যাঁ খুব শীঘ্রই জমির ভ্যালুয়েশন চেক করা যাবে বাড়িতে বসেই।
হটাৎ এই ব্যবস্থা কেন? এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে এর পিছনের কারণও প্রকাশ্যে এসেছে। করোনা মহামারী চলাকালীন সরকার স্ট্যাম্প ডিউটিতে চার ঘোষণা করেছিল। যে কারণে বিগত ৩ বছরে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে অনেকটাই। তাই এবার সেদিকে নজর দিতে চলেছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ মালামাল হতে মাত্র ২৫০০০ টাকাই যথেষ্ট! এই কাজ করেই প্রতিমাসে আয় হবে লাখ টাকা ইনকাম
কিভাবে জমির সরকারি ভ্যালুয়েশন নির্ধারিত হয়?
কোনো জমি বা বাড়ি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হিসাব করার জন্য ভালুয়েশন ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে জমির মৌজা, প্লট নাম্বার, জমির পরিমাণ, সামনের রাস্তা কতটা চওড়া ইত্যাদি একাধিক জিনিস দেখা হয়। এমনকি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও টোটাল কার্পেট এরিয়া হিসাব করা হয়, সাথে সামনের রাস্তা ও আবাসনের বাকি সুযোগ সুবিধে যেমন লিফ্ট, পার্কিং সমস্ত কিছু দেখা হয়। সব মিলিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হয়।
ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন কি?
নতুন পদ্ধতিতে এলাকার উন্নয়নের ভিত্তিতে সরকারিভাবে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ কোনো এলাকায় যদি বর্তমানে উন্নয়নের কাজ চলে সেক্ষেত্রে কাজ শেষ হয়ে গেলে আগের তুলনায় সেখানে জমির দাম বেড়ে যাবে। প্রতিনিয়ত এই দাম বদলাতে থাকবে সেই কারণেই এটিকে ডায়নামিক পদ্ধতি বলা হচ্ছে।
কবে ও কিভাবে ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন চালু করা হবে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে রাজ্যবাসী যাতে জমি কেনা বেচার আগে সহজেই তার দাম নির্ধারণ করতে পারেন তাই একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। সেখানেই জমির কিছু তথ্য দিলে সমস্তটা দেখে নেওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই সুইজারল্যান্ডে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই বাংলাতেও এমন সুবিধা পাবেন মানুষ।