পার্থ মান্নাঃ বাংলাইর পছন্দের ও বাজেটের প্রিয় ডেস্টিনেশনের কথা জিজ্ঞাসা করলে যে নামটা প্রথমেই উঠে আসবে সেটা হল দিঘা। সপ্তাহের সাত দিনই জমজমাট দিঘার সমুদ্র সৈকত। তাছাড়া প্রতিনিয়ত দিঘাকে আরও সুন্দর করে তোলার কাজ হয়েই চলেছে। এতদিন দিঘা যেতে গেলে বাসে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে চার ঘন্টা সময় লাগত। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে সেই সময়টা অনেকটাই কমে যেতে চলেছে।
আরও কম সময়ে পৌঁছানো যাবে দিঘা!
জানা যাচ্ছে, কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার রাস্তায় মোট চারটি বাইপাস তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। যা তৈরী হয়ে যাওয়ার পর দিঘা যাওয়ার জন্য সময় অনেকটিয়া কমে যাবে। জানা যাচ্ছে দীপাবলির পরেই এই প্রজেক্টের কাজ শুরু হতে চলেছে।
দিঘা যাওয়ার বাইপাসের জন বরাদ্দ মোটা টাকা
দিঘা যাওয়ার পথে জাতীয় সড়ক 116B এর উপর রামনগর থেকে বালিসাই পর্যন্ত একটি বাইপাস তৈরী করা হবে। যার ফলে হাইওয়েতে থাকা জ্যামকে এড়িয়ে দ্রুত দিঘার পথে এগিয়ে যাওয়া যাতে। এতে যেমন সময় কম লাগবে তেমনি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ফলে হওয়া দূষণের মাত্রাও কমবে। এরপর নন্দকুমার থেকে দিঘা পর্যন্ত একটি ৯০ কিমি দীর্ঘ বাইপাস করা হবে। এখানেই শেষ নয়, এরপর হেড়িয়া থেকে কালীনগনগর কালীমন্দির ও কোন্টাই থেকে আলমপুর ও ফতেপুরের মধ্যেও বাইপাস তৈরী করা হবে।
আপাতত এই প্রকল্পে মোট ৮৫০ কোটি টাকার খরচ হবে বলে জানানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তবে প্রয়োজনে এই খরচ বাড়তে পারে। সমস্ত বাইপাস তৈরী হয়ে গেলে কমকরে ১ ঘন্টার জার্নি কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরফলে সপ্তাহান্তে যাদের দিঘা যাওয়ার প্ল্যান থাকে তাঁরা মাত্র ৩ ঘন্টাতেই দিঘা পৌঁছে যেতে পারবেন। ফলে দিঘার পর্যটন শিল্পের গ্রোথ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
জোরকদমে চলছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ
প্রসঙ্গত, দিঘা এতদিন সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত হলেও সেখানে জোরকদমে চলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরির কাজ। দিঘা রেলস্টেশনের কাছেই তৈরী হচ্ছে শ্রী জগন্নাথ দেবের বিশাল মন্দির। যেটা তৈরী হয়ে গেলে দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে একথা একপ্রকার নিশ্চিত ভাবেই বলা যেতে পারে। তাই পর্যটকদের আসা যাওয়ার সময় কমলে সেটা দিঘার অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।