পার্থ মান্নাঃ রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে কোম্পানি হিসাবে রেজিস্ট্রেশনে করিয়ে দেবার জন্য চালু হওয়ার কথা ছিল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবিরের। কিন্তু আরজি কর কান্ড থেকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে সেসব কিছুই হয়নি। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসেই শিবিরের আয়োজন করার কথা থাকলেও এবার সেটা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
পিছিয়ে গেল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবিরের ডেট
গতমাস থেকেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ আমজনতা। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে বলতে গেলে প্রতিদিনই বেড়েচ্ছে প্রতিবাদ মিছিল। এরপর এমাসে অত্যাধিক বৃষ্টির জেরেও কাজ ব্যাহত হয়েছে। শেষমেশ কিছুদিন আগেই ডিভিসি জল ছাড়ার পর বন্যা পরিস্থিতিতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক জেলা। তাই আপাতত দুয়ারে উদ্যমের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। সব যদি ঠিক থাকে তাহলে পুজোর মিটলে নভেম্বর মাসেই কাজ শুরু হতে পারে।
‘উদ্যম’ কি?
উদ্যম আসলে উদ্যম আধার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে। ক্ষুদ্র বা মাঝারি শীলের সংস্থাগুলিকে সরকারি ভাবে রেজিস্ট্রেশন করানো হয় উদ্যমের মাধ্যমে। এতে করে একদিক থেকে যেমন সরকারি স্বীকৃতি মেলে তেমনি ভর্তুকি সহ কম সুদে লোনের সুবিধাও পাওয়া যায়। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফ থেকে বিশেষ স্কিম চালু করা হলে তার সুবিধাও নেওয়া যেতে পারে।
সরকারি মতে, এই প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রাইসওয়াটার্সহাউজ় কুপার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে। কিন্তু আন্দোলনের জেরে কাজ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সামনেই পুজো তাই এখন শিবিরের আয়োজন হলে মানুষ কতটা সাড়া দেবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। তাই এখন কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ 4G ছাড়াই সস্তায় পুষ্টিকর, সবাইকে পিছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়ল BSNL
কবে শুরু হবে ‘উদ্যম আধারের’ কাজ?
রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের এক শীর্যকর্তা জানান, নাম নথিভুক্ত করতে এক থেকে দেড় মাসের মত সময় লাগবে। যদি নভেম্বর মাসে কাজ শুরু যা তাহলে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত কাজ চলবে। এই প্রসঙ্গে জুনমাসেই প্রাইসওয়াটারহাউজ় কুপার্স এর সাথে ছোট সংস্থাগুলির সংগঠন ফসমির বৈঠক হয়েছিল। সেখানে শিবির আয়োজনের নির্দিষ্ট তারিখ জানানো না হলেও শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে ও তার ডেট জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।