নিউজশর্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মানুষদের আর্থিক ও সার্বিক উন্নতির স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে একাধিক স্কিম চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রীর মত একাদিক প্রকল্প রয়েছে। তবে একটি এমন প্রকল্প (Scheme) আছে যাতে ৮০,০০০ টাকা পাওয়া যায়। আজ সেই প্রকল্পটির সম্পর্কেই জানাবো।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার সময়স নিয়ে চিন্তিত হওয়ার পরেই অ্যাকশনে নেমেছে সরকার। তাই হকার উচ্ছেদ নিয়ে উত্তাল রাজ্য তথা রাজনৈতিক মহল। উচ্ছেদ শুরু হতেই আন্দোলনে নেমেছেন হকাররা। যা দেখে শেষমেশ ১ মাস সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই মর্মেই উঠে আসছে রাজ্য সরকারের হকারদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের কথা।
বাংলার হকারদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভা অঞ্চলে ব্যবসা করতে থাকা হকারদের জন্য ৮০,০০০ টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। কিন্তু কিভাবে আবেদন করতে হয়? কি নিয়ম বা যোগ্যতা রয়েছে টাকা পাওয়ার জন্য? আজ সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
আরও পড়ুনঃ ৭৩০ জিবি ডেটা সাথে আনলিমিটেড 5G, Jio-র এই রিচার্জ একবার করলেই গোটা বছর ঝিঙ্গালালা!
হকারদের জন্য ৮০,০০০ টাকার প্রকল্প
হকারদের জন্য ২০২৩ সালে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যে সমস্ত হকাররা এই প্রকল্পে টাকা পেতে চান তাদের পৌরসভায় আবেদন জানাতে হবে। তবে একেবারে ৮০,০০০ টাকা পাওয়া যাবে না। মোট তিনটি ধাপে টাকা দেওয়া হবে। যার প্রথম ধাপে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে লোন হিসাবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ২০,০০০ টাকা দেওয়া হবে উদয় ক্ষেত্রেই লোন পরিশোধ করার জন্য সময় দেওয়া হবে ১ বছর। দ্বিতীয় ধাপের টাকাও শোধ করে দিলে ৫০,০০০ টাকার লোন দেওয়া হবে। এভাবেই সর্বমোট ৮০,০০০ টাকা লোন দেওয়া হবে।
মূলত পুজো বা অনুষ্ঠানের সময় বেশি করে মালপত্র কেনার জন্য টাকার প্রয়োজন হয় ব্যবসায়ীদের। সেই সময় সরকারিভাবে লোন দেওয়া হলে অনেকটাই সুবিধা হবে। এই কথা ভেবেই হকার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এখনও এই প্রকল্পের ১ বছর হয়নি, তাই আশা করা হচ্ছে হয়তো এটির আরও মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারেন মুহ্যমন্ত্রী। যদিও অফিসিয়াল ঘোষণা না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।