পার্থ মান্নাঃ যতদিন যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। রান্নার তেল থেকে শুরু করে চাল, ডাল এমনকি আলুর দামও বেড়েই চলেছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে মধ্যবিত্ত থেকে গরিবদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে চলেছে। যদিও সরকারের টাস্ক ফোর্স বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, তবুও দাম বেড়ে যাওয়াতে এবার নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই এবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামল রাজ্য।
দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে কড়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
বাজারে আলুর আসার আগে সেটা হিমঘরে মজুত করে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিমান্ড অনুযায়ী সেই আলু বাজারে সাপ্লাই দেওয়া হয়। তবে এবার জানা যাচ্ছে, হিমঘরে আলু মজুত রাখার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। এখনও পর্যন্ত যতটা সময় মজুত রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ততদিনই মজুত রাখা যাবে। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেই আলু বের করে বাজারে পাঠাতে হবে। আর যোগান যথেষ্ট পরিমানে হলেই দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য গতকাল সন্ধ্যের দিকেই বৈঠক করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেখানেই কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটার মত উৎসবের সময় বাজারে আলুর দাম ঠিক থাকছে কি না দেখার জন্য টাস্ক ফোর্সের অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ মুখ্য সচিবের
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের মুখ্য সচিব সাফ জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাতে হবে। খুচরো বাজারে কোনো রকমের কালোবাজারি দেখতে পেলেই তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানাতে হবে। এদিকে রাজ্য পুলিশকেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গন্ডগোল হলেই পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাঙালিদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকা চাল, ডালের পাশাপাশি আলু অতিপ্রয়োজনীয়। আলু ছাড়া কোনো তরকারিই যেন মুখে রুচতে চায় না। তাই আলুর দাম যাতে জোর করে বাড়ানো না হয় তার জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করা হল সরকারের তরফ থেকে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।