নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারত সরকারের(Government) পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ প্রকল্প হল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত একটি প্রকল্প যেখানে নতুন এবং পুরনো ব্যবসার জন্য ঋণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে এক্ষেত্রে এই স্কিমের অধীনে ব্যবসার মূল্য এবং কত পুরনো ব্যবসা তার ওপর নির্ভর করে তিন ধরনের ব্যবসায়িক লোন পাওয়া যায়।
আপনি যদি একটি নতুন ব্যবসার শুরু করতে চান বা আপনার একটি পুরনো ব্যবসা থাকে তাহলে আপনি এই স্কিমের সাহায্যে কোনরকম জামানত ছাড়াই ঋণ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হলেও এই প্রকল্পের অধীনে লোন ব্যাংক দ্বারা দেওয়া হয়। আপনি যদি এই স্কিমের অধীনে লোন নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হবে। এর সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন হবে।
কি কি নথি লাগবে?
পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ সঠিক তথ্য সহ পূরণকৃত আবেদনপত্র।
ব্যবসার অবস্থান, ঠিকানা এবং এই ব্যবসা কত বছর চালু আছে তার প্রমাণপত্র।
যদি আবেদনকারী কোনো বিশেষ বিভাগের অন্তর্গত হয় যেমন SC/ST/OBC/সংখ্যালঘু, তার প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়),
গত ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট আবেদনকারী এবং সহ-আবেদনকারীদের কেওয়াইসি নথি: পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, ইউটিলিটি বিল (জল/বিদ্যুৎ বিল),
আর ব্যাঙ্ক বা NBFC দ্বারা প্রয়োজনীয় অন্য কোনও নথি.
আরও পড়ুন: Government: ভারতের সবথেকে গরীব রাজ্য কোনটি? নামটি শুনলে অবশ্যই চমকে যাবেন
প্রধানমন্ত্রীর ঋণের কি কি সুবিধা আছে?
এই প্রকল্পের অধীনে শুধুমাত্র ব্যবসা এবং উদ্যোক্তারা আবেদন করতে পারেন এবং সুবিধাগুলি পেতে পারেন।
এই প্রকল্পের অধীনে ঋণ নেওয়ার জন্য কম সুদের হার নেওয়া হয়। নামমাত্র প্রক্রিয়াকরণ ফি নেওয়া হয়।
এই ঋণে কোনো ধরনের জামানত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এই প্রকল্পের অধীনে, ৩ ধরনের ঋণ দেওয়া হয়-
শিশু ঋণ – প্রকল্পের অধীনে দেওয়া শিশু ঋণ নতুন ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় যাতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
কিশোর ঋণ – কিশোর ঋণও এই প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয় যাতে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।
তরুণ ঋণ – এই স্কিমের অধীনে আরেকটি ঋণ দেওয়া হয়। যাতে নতুন এবং ভাল মূল্যের ব্যবসায়িক ঋণ নেওয়া যেতে পারে। যার মধ্যে ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।